দ্বিতীয় গাজায় পরিণত হয়েছে লেবানন। ইরানের মদতপুষ্ট সংগঠন হেজবোল্লাকে নিশানা করে একের পর এক জায়গায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইজরায়েলি সেনারা । কয়েকদিন আগেই ইজরায়েলি সেনার হামলায় হেজবোল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লার মৃত্যু হয়েছে। একইসাথে মৃত্যু হয়েছে হাশেম সফিউদ্দিনও! সে-ই ছিল হেজবোল্লার সম্ভাব্য প্রধান। এবার হেজবোল্লার আর এক শীর্ষ নেতাকে টার্গেট করে বেইরুটে আক্রমণ চালিয়েছিল ইজরায়েলি সেনারা। কিন্তু তাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছে সে। তবে এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২২ জন। আহত শতাধিক। এই মৃত্যুর কথা জানিয়েছে লেবাননের প্রশাসন।
যতদিন যাচ্ছে লড়াই আরও তীব্র হচ্ছে লেবাননে। জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল।
রয়টার্স সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী বেইরুটে ‘অগ্নিবর্ষণ’ করে ইজরায়েলি সেনা। টার্গেটে ছিল হেজবোল্লার শীর্ষ নেতা ওয়াফিক সাফা।
জানা গেছে, এই সাফা জঙ্গি সংগঠনটির নিরাপত্তা বিষয়ে ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সামলায়। কিন্তু তাকে খতম ব্যর্থ হয় ইজরায়েল। হেজবোল্লার এক মুখপাত্র নিশ্চিত করে জানায় , ইজরায়েলি সেনার হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছে সাফা। কিন্তু ইহুদি দেশটির হানায় প্রাণ গিয়েছে ২২ জনের। আহতদের সংখ্যা ১৭৭। এছাড়াও শহরটিও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহুতল। ধ্বংসস্তূপের নিচেও কয়েকজন আটকে রয়েছেন। চলছে উদ্ধারকাজ।
যেভাবে গাজায় একের পর এক হামাস নেতাকে হত্যা করেছে ইজরায়েল ঠিক সেভাবেই অভিযান চলছে লেবাননে। হেজবোল্লার প্রধান হাসান নাসরাল্লাকে নিকেশ করেই থেমে নেই তেল আভিভ।
গত মঙ্গলবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, ইজরায়েলি সেনা হেজবোল্লার সম্ভাব্য সর্বোচ্চ নেতাকেও শেষ করেছে। রেকর্ড করা ভিডিয়ো বার্তায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমরা হেজবোল্লার ক্ষমতা ছেঁটে ফেলেছি। আমরা হাজার হাজার জঙ্গিকে হত্যা করেছি। হেজবোল্লা প্রধান নাসরাল্লা, তার উত্তরসূরি এবং উত্তরসূরির বিকল্পকেও হত্যা করেছি।” এতে ইরানের সঙ্গে আরও সংঘাত বাড়ছে ইজরায়েলের। নাসরাল্লার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে কয়েকদিন আগেই ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। যার পালটা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেল আভিভ। ফলে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি।