১৯ মার্চ ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১২:৩৩ পূর্বাহ্ন


পাক প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে শাহবাজ শরিফ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৪-২০২২
পাক প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে শাহবাজ শরিফ ফাইল ফটো


শনিবার মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন পাক-প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট পড়ে ১৭৪টি। যদিও ক্ষমতা হারানোর ওই মুহূর্তে অ্যাসেম্বলিতে উপস্থিত ছিলেন না খোদ ইমরান। তাতে অবশ্য পাক অ্যাসেম্বলির কিছু এসে যায়নি।

কারণ ইতিমধ্যে সেদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঘুরে গিয়েছে যাবতীয় প্রচারের আলো। কে হবে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী? ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা তিনি হলেন সদ্য প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ 

শাহবাজের পরিচয়: পুরো নাম মিয়া মহম্মদ শাহবাজ শরিফ। লাহোরে জন্ম ১৯৫০ সালে। ব্যবসায়ী পরিবারে ছেলে। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা মুসলিম লিগের জনপ্রিয় নেতা নওয়াজ শরিফের ভাই। যেদিন থেকে ইমরানের গদি টলমল করা শুরু হয়েছিল, সেদিন থেকেই পরবর্তী পাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজের নামই উঠছিল। 

শাহবাজ তাঁর দাদার মতোই পাকিস্তানের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ সামলেছেন। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন পাঞ্জাবের সবচেয়ে বেশি সময়ের মুখ্যমন্ত্রী। পর্যায়ক্রমে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হন। ক্ষমতাচ্যুত দাদা দেশ ছাড়তে বাধ্য হলে পাক রাজনীতিতে শাহবাজের গুরুত্ব হুড়মুড় করে বেড়ে যায়। কারণ এরপর তিনিই পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দলের সর্বোচ্চ নেতা হয়ে ওঠেন। মুসলিম লিগের প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হয়েছিলেন শাহবাজ। সেই সময় প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন। যদিও ভুট্টোদের নেতৃত্বের দল পিপিপি প্রধানমন্ত্রী পদে ভোটদান থেকে বিরত থাকে। এরপর নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে ইমরান সরকার। আর পাঁচজন পাক রাজনীতিকের মতোই উত্থানপতনের জীবন শাহবাজের। পারভেজ মুশারফের আমলে জেলবন্দি হন। পরে দেশত্যাগ এবং সৌদি আরবে থিতু হওয়া। ২০০৭-এ দেশে ফিরে পরের বছরে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হন। এর মধ্যে ২০২০ সালে তাঁকে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও বরাবরই তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক পাক সেনার।

পাক রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মত, এবার তারই সুফল পেতে চলেছেন শাহবাজ। ইমরানের ছেড়ে যাওয়া গদিতে সম্ভবত তিনিই বসতে চলেছেন। আগামী ১২ এপ্রিল ফের বসবে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন। এই অধিবেশনেই নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে অন্তত শাহাবাজ ছাড়া আর কারও নাম ভাবা যাচ্ছে না।

শাহবাজ তাঁর দাদার মতোই পাকিস্তানের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য হয়েছিলেন শাহবাজ।

রাজশাহীর সময়/এএইচ