২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:১৫:৪৮ পূর্বাহ্ন


মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী, কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই রাসিকের
স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৪-২০২২
মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী, কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই রাসিকের মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী, কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই রাসিকের


রাজশাহীতে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নগরবাসী। ঘরে বাইরে রাস্তা ঘাটে কোথাও মিলছে না শান্তি। মশার কামড়ে এক মিনিটের জন্য কোথাও দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়েছে। চায়ের স্টলে চা পোন করতে গেলেও চেয়ারের নিচে কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে।

মশার উপদ্রব মাত্রা ছাড়িয়েছে। রাতের বেলা তো বটেই, দিনেও ঘুমাতে হলে মশারি ব্যবহার করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। শুধু রাতের বেলা নয়, দিনেও মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে ঘরে মশারি টাঙিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।

মশা তাড়াতে কয়েল, অ্যারোসোল ও ইলেকট্রিক ব্যাট ব্যবহার করেও খুব একটা সুফল মিলছে না বলে দাবি নগরবাসীর। মশার এই তীব্র উৎপাতের মধ্যেও গত এক বছর ধরে মশা নিধনে কোনও ধরনের কার্যক্রম হাতে নেয়নি রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।

নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই মশা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। 

তবে মশা নিয়ে নগরবাসীর অভিযোগকে খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা বেগম। তিনি বলছেন, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে তুলনা করলে রাজশাহীতে মশার পরিমাণ খুবই কম। 

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ফগার মেশিনের তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে আছে রাসিকের মশা নিধন কার্যক্রম। এর মধ্যে মশার উপদ্রব মাত্রা ছাড়িয়েছে। 

নগরীর কাজলা এলাকার বাসিন্দা রনি জানান, এবার শীত শেষে দ্রুতই গরম নেমেছে। আর গরমে দরজা-জানালা খুলে রাখা হয়। কিন্তু দরজা-জানালা খোলা রাখলে মশার কারণে বাসায় থাকাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। দিনের যে সময়ই হোক, কয়েল জ্বালিয়ে কিংবা মশারি টানিয়ে বসে থাকতে হয়। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখাও করতে হচ্ছে মশারির ভেতরে বসে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর বেশিরভাগ ড্রেন অপরিষ্কার। অথচ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্যও নেই তেমন কোনও কার্যক্রম। এ কারণে নগরীজুড়ে বেড়েছে মশার চরম দাপট। কয়েল কিংবা অন্য কোনও উপায়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই মিলছে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর মশার কামড়ে উপদ্রব কয়েক গুন বেশি বেড়ে যাচ্ছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশন সময়মতো ড্রেন ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করায় সেগুলো মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আর মশক নিধনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় চরম ভোগান্তি বেড়েছে নগরবাসীর। 

এছাড়াও মশক নিধনে সিটি করপোরেশনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মশার উপদ্রব বেড়েছে স্বীকার করে  সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ আলী দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

এর আগে  ২০২০-২১ অর্থবছরে মশক নিধনে ২ কোটি ৮ লাখ টাকার ফগার মেশিন ও কীটনাশক কেনে সিটি করপোরেশন।

রাজশাহীর সময় / এম আর