২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার, ০৪:২৩:৩৫ অপরাহ্ন


৭০ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ করলো মতিহার থানায়
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৪-২০২২
৭০ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ করলো মতিহার থানায় ৭০ জন ভুক্তভোগী অভিযোগ করলো মতিহার থানায়


“নারী মুক্তি সংস্থা’র” নামে টাকা হাতানো প্রতারক চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৭০জন ভুক্তভোগী অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায়।

বুধবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ৩৫ জন এবং বৃহস্পতিবার সন্ধায় ৩৫জন ভুক্তভোগী এই অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযুক্তরা হলেন, নারী মুক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোসাঃ শাহানারা বেগম (বুলু), তার প্রধান সহযোগী মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার মৃত হাসেমের ছেলে মোঃ শামীম হাসান অনতু, একই থানার বাজে কাজলা পাওয়ার হাউজপাড়া এলাকার মোস্তফা’র মেয়ে মোসাঃ শম্পা (২৬) ও একই এলাকার মোঃ বল্টু’র মেয়ে মোসাঃ বর্ণা (২৭)।

ভুক্তভোগীরা জানায়, পথশিশু ভাতা পেতে ৬ হাজার ৫০০ টাকা দিলে তিন মাস পরে তিন কিস্তিতে দেয়া হবে ৪০ হাজার টাকা। “নারী মুক্তি সংস্থার” নামে এমন প্রচারনা চালায় প্রতারক অনতু, শম্পা ও বর্ণা। তারা স্থানীয় ও এলাকার মানুষ তাই তাদের কথা বিশ্বাস করেন তারা। পরে তাদের শিশু সন্তানের ভবিষ্যত ভেবে কেউ শেষ সম্বল কানের স্বর্ণের দুল, কেউ মেয়ের গলায় স্বর্ণের চেইন বিক্রি করেন। আবার কেউ কিস্তিতে টাকা নিয়েছেন, কেউ সুদের উপর টাকা নিয়ে ৬,৫০০শত টাকা করে প্রতারক চক্রের সদস্যদের দিয়েছেন।

এই সকল মানুষদের মধ্যে রয়েছেন বিক্সা চালক, ভ্যান চালক, ভাজা বিক্রেতা, বাদাম বিক্রেতা। নারীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বাসা বাড়িতে কাজ করেন।

গত (৫মে ২০১৯) সালে তারা এই টাকা প্রদান করেন। এরপর প্রায় আড়াই বছর যাবৎ ভুক্তভোগীরা তাদের টাকা উদ্ধার দারে দারে ঘুরে কোন প্রতিকার না পেয়ে শেষ আশ্রয় হিসেবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

তারা আরও বলেও এই অনতুকে কাজলার বেশ কয়েকজন নারী মিলে ৬২০ জন গ্রহকের কাছ থেকে মোট ৪০, লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। কিন্তু গ্রহকদের টাকা ফেরত দেয়াতো দুরের কথা টাকা চাইতে গেলে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেয় মাদকাশক্ত অনতু। তাছাড়া সে গ্রহকদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। 

জানতে চাইলে নারী মুক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোসাঃ শাহানার বেগম (বুলু) জানান, তিনি মোট ৪ হাজার গ্রহকের টাকা পেয়েছেন। বিদেশি সংস্থার টাকা। করোনার জন্য টাকা আটকে আছে। রমজান মাসেই সকল গ্রহকের ভাতার টাকা পরিশোধ করা হবে। ১বছর পালিয়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকাটা দ্রুত পাওয়ার জন্য ঢাকায় থাকছি। টাকা এ্যাকাউন্টে ঢুকলেই রাজশাহী ফিরবো বলে জানান তিনি।

এদিকে মাঠ কর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য আনুযায়ী রাসিক ৩০টি ওয়ার্ড এবং এর বাইরে ইউনিয়ন পর্যায়ে লোক নিয়োগ দিয়ে পথ শিশু ভাতার নামে টাকা তুলেছেন বুলু। গ্রহক সংখ্যা ৪হাজার মুখে বললেও এর সংখ্যা কয়েক গুন বেশি। টাকার অংকটাও কয়েক কোটি টাকা হবে। অর্থাৎ নারী মুক্তি সংস্থার নির্বাহী সম্পাদক মোসাঃ শাহানারা বেগম ও তার সহযোগীদের সুপার চিট অখ্যা দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তারা এই চিটদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট।

রাজশাহীর সময় / এম আর