২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৪৪:৫২ অপরাহ্ন


হাওরের বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দূর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই ---উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া- সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৪-২০২২
হাওরের বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও  দূর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই  ---উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম হাওরের বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দূর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই ---উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম


হাওরের বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দূর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্রসোনার থাল হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আরো বলেন- হাওরের ফসল রক্ষা বেরী বাঁধ নির্মাণের সাথে জড়িত প্রথম শ্রেণীর ২২জন ঠিকাদারকে তাদের কাজের অনিয়ম ও দূর্নীতির জন্য কালো তালিকা ভুক্ত করেছি। বেরী বাঁধ ভেঙ্গে সুনামগঞ্জের ফসল ডুবে যাওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে আমরা রবিবার মন্ত্রণালয়ে গিয়ে উচ্চ পর্যায়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। সেই কমিটি সুনামগঞ্জে এসে সরেজমিন সুষ্ঠ ভাবে তদন্ত করবে। সেই তদন্ত অনুয়াযী হাওরের বাঁধের নির্মাণ কাজের অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে যদি কোনো সরকারী কর্মকর্তা কিংবা পিআইসির কেউ জড়িত থাকে তাহলে ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে যাওয়া হাওরের ফসল পরিদর্শনের সময় উপমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন- সংরক্ষিত আসনের নারী এমপি শামীমা শাহরিয়ার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

উল্লেখ্য, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে ফসল রক্ষা বেরী বাঁধ ভেঙ্গে গত কয়েকদিনে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় ৫টি হাওরের সোনালী ফসল ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে চরম ঝুকির মধ্যে রয়েছে দোয়ারাবাজার, ছাতক, জামালগঞ্জ, বিশ^ম্ভরপুর, শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলার সোনালী ফসল। একারণে কৃষকরা তাদের ফসল টিকিয়ে রাখার জন্য সেচ্ছা শ্রমের ভিত্তি নিজ খরছে হাওরের বেরী বাঁধে কাজ করছে। দিনরাত দিচ্ছে পাহাড়া। অন্যদিকে সোনালী ধানের ফসল হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কান্না যে থামছেনা। তারা অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।  

রাজশাহীর সময় / এম আর