২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:২০:০০ অপরাহ্ন


যমজ সন্তানের মা-বাবা হওয়ার সম্ভাবনা যাদের বেশি
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৪-২০২২
যমজ সন্তানের মা-বাবা হওয়ার সম্ভাবনা যাদের বেশি ফাইল ফটো


যমজ সন্তানে জন্ম দেওয়ার আকাঙ্খা সব বাবা-মায়ের মধ্যেই থাকে। তবে সবার গর্ভে তো আর যমজ সন্তান জন্ম নেয় না! অনেকে আশা করে যমজ সন্তানের বাবা-মা হবেন তবুও তারা পান না আবার অনেকে না চাইতেও পেয়ে যান।

অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে, কীভাবে যমজ সন্তান হয় বা কী করলে যমজ সন্তান গর্ভে আসবে?

আসলে যমজ সন্তান হওয়ার বিষয়টি বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

দু'ধরনের যমজ সন্তান হয়ে থাকে। যারা দেখতে একই রকম। এদেরকে বলা হয় আইডেন্টিকাল টুইন। আবার এমনও যমজ আছে যাদের চেহারায় মিল নেই। এদেরকে বলা হয় ফ্র্যাটার্নাল টুইন।

বিশ্বে প্রতি ২৫০ জনের মধ্যে মাত্র একজন নারী যমজ সন্তানের জন্ম দেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কাদের সবচেয়ে বেশি-

যদি আপনার কোনো যমজ ভাই বা বোন থাকে তাহলে আপনারও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ফ্র্যাটার্নাল যমজদের ক্ষেত্রে মায়ের শরীরে ডিম্বাণু বেশি উত্‍পাদন হয়। একে বলে হাইপারওভিউলেশন। এই প্রবণতা নারীর মধ্যে তাদের মায়ের ডিএনএ থেকে আসতে পারে।

আবার বেশি বয়সে মা হলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে ৩৫ বা ৪০ বছরের বেশি হলে।

নারীরা যতই মেনোপোজের দিকে এগিয়ে যান, ততই তাদের শরীরে হরমোনের পরিবর্তন। ফলে বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

খুব বেশি লম্বা নারীদেরও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, ১২৯ জন নারী, যারা যমজ সন্তানের মা হয়েছেন তাদের সবারই উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির বেশি ছিল।

অতিরিক্ত ওজন হলে অনেকেরই গর্ভধারণ করতে সমস্যা হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ওবেসিটিতে ভোগা নারীদের ক্ষেত্রেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এর কারণ হলো অতিরিক্ত শরীরের চর্বি ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর উচ্চ মাত্রার ইস্ট্রোজেন ডিম্বাশয়ের অত্যাধিক উদ্দীপনার কারণ হতে পারে।

২০০৬ সালের এক সমীক্ষা জানায়, যারা ভেগান খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত তাদের ক্ষেত্রেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ যারা নিরামিশ খাবার খান তারা উদ্ভিদজাত দুধ বেশি খাচ্ছেন।

দুগ্ধজাত খাবার খেলে শরীরে এমন কিছু পদার্থ প্রবেশ করে যা শরীরের সন্তান উত্‍পাদন পক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এ বিষয়ে তেমন গবেষণা হয়নি।

যারা আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হন তারা গর্ভধারণে সফল হলে অনেক সময় একাধিক ভ্রুণ শরীরে প্রবেশ করান। ফলে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

যারা এক সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় গর্ভবতী হন তাদেরও যমজ সন্তান হতে পারে। যদিও বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের উর্বরতা কমে যায় ও গর্ভাবস্থা রোধ করতে পারে।

তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে,বুকের দুধ খাওয়ানো মানুষের মধ্যে জমজদের হার ১১.৪ শতাংশ। অন্যদিকে স্তন্যদানকারী নারীর মধ্যে এই হার মাত্র মাত্র ১.১ শতাংশ।

এছাড়াও যারা অনেকবার গর্ভধারণ করেছেন তাদের মধ্যেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

 আবার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গদেরও যমজ সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি। অন্যদিকে এশিয়ানদের যমজ সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।

রাজশাহীর সময়/এএইচ