২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৫৮:২৮ অপরাহ্ন


আসামে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৭-২০২৪
আসামে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ ছবি: সংগৃহীত


ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের আসাম রাজ্য। সেখানে বন্যার কারণে লাগাতার প্রাণহানি ঘটছে। রোববার বিভিন্ন জেলা থেকে আরো আটজন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭৮ জনে।

বন্যার পাশাপাশি ভূমিধস ও ঝড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৮টি জেলার ২২ লাখেরও বেশি মানুষ। যার মধ্যে শুধুমাত্র ধুবড়ি জেলাতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ, যা আসামের জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

আসামের রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) জানিয়েছে, রোববার যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ধুবড়ি ও নলবাড়ি থেকে দুজন করে এবং কাছাড়, গোয়ালপাড়া, ধেমাজি ও শিবসাগর থেকে একটি করে মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আসামের ২৮টি জেলার ৩ হাজার ৪৪৬টি গ্রামের ২২ লাখ ৭৪ হাজার ২৮৯ জন মানুষ।

ধুবড়ির পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাছাড় জেলা। এই জেলায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯২৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপরেই রয়েছে বারপেটা জেলা। এখানে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ইতোমধ্যেই বন্যাদুর্গতদের সাহায্য ও উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন। বন্যাপীড়িতদের সাহায্যে রাজ্যে মোট ২৬৯টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে, যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৫৩ হাজার ৬৮৯ জন মানুষ। এছাড়া আরো ৩৬১টি ত্রাণকেন্দ্রের সাহায্যে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ জন মানুষকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে খাদ্য থেকে শুরু করে ওষুধ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। এএসডিএমের বুলেটিন অনুযায়ী, এবারের বন্যায় আসামের মোট ৬৮ হাজার ৪৩৩ হেক্টর জমি প্লাবিত হয়েছে।

বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক নদীর পানি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয় ধরাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদী। বেশ কয়েকটি জায়গায় এই নদীর পানির স্তর বিপৎসীমার অনেকটা উঁচুতে উঠে গেছে। এছাড়াও অন্য নদীগুলো যেমন খোয়াংয়ের বুরহিডিহিং, শিবসাগরের দিখৌ, নাংলামুরাঘাটের দিসাং, নুমালিগড়ের ধানসিরি, ধারামতুলের কপিলি, বারপেটাতে বেকি, গোলকগঞ্জের সংকোশ, বিপি ঘাটের বরাক এবং করিমগঞ্জের কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার উপরে বইছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসনসহ একাধিক উদ্ধারকারী সংস্থা রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ১৭১টি নৌকা মোতায়েন করে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ৭০ জন মানুষ ও ৪৫৯টি গবাদি পশু উদ্ধার করেছে।