দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এবারও কোরবানী পশুর চামড়ার আশানুরূপ দাম পাননি বিক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা ছাগলের চামড়া না কেনায় বিক্রি হয়নি ছাগলের চামড়া।
পৌর এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন, তার পিতা মরহুম ইউনুস আলীর জীবদ্দশায় ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে সাড়ে চার বছর ধরে অর্ধ কোটি টাকা পাওনা পড়ে রয়েছে। তাগিদ দিয়েও টাকা উদ্ধার করা যাচ্ছে না। এরপরও পিতার ব্যবসায়ীকে ধরে রেখেছেন তিনি। চামড়ার ব্যবসা পুরোটাই ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করলেও সেই দামে তারা না কেনায় স্থানীয় বাজারে চামড়ার দাম পড়ে গেছে। গত বছর থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বতর্মানে কোরবানীর আকারের প্রকার ভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, ছোট প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। তবে ছাগলেও চামড়া কেনা হয়নি। কারণ টেনারীতে ছাগলের চামড়ার পরিবহণ খরচ দিতে চায় না। এ কারণে চাগলের চামড়া কিনলে সেটি নিয়ে বিপদে পড়তে হবে।
অপর ব্যবসায়ী দানেশ হাসমী বলেন, গরুর চামড়া প্রকার ভেদে ২৫০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে কেনাকাটা করেছেন। তবে ছাগলের চামড়ার দাম না থাকায় ১০ টাকা দরে দুইটি চামড়া কিনলেও অন্তত ২০টি ছাগলের চামড়া বিনামূল্যে দিয়ে গেছেন চামড়ার মালিকরা। ঢাকার টেনারিতে তারও পাওনা রয়েছে অন্তত ২৫ টাকা। দীর্ঘদিন ধরে পরে রয়েছে এই টাকা। এতে তার ব্যবসার পূঁজি কমে এসেছে।
মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল আলী বলেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে টেনারীতে চামড়া না কেনার জন্য স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরাও ওই দামে চামড়া কিনছেন না। ফলে গত বছরের মতো এ বছরেও চামড়ার দাম পড়ে গেছে। এতে করে চামড়ার ব্যবসা সংকুচিত হয়ে আসছে দিন দিন।
পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী গ্রামের আশরাফ আলী বলেন, ছাগল কোরবানী দেওয়া হলেও কোরবানীর পর চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে কেউ কিনতে না চাওয়ায় বিনামূল্যেই এক ব্যবসায়ীকে দিয়ে এসেছেন।
কলেজ শিক্ষক আপেল মাহমুদ বলেন, কোরবানীর গরু যেদামে কেনা হয়েছিল তাতে মনে করেছিলেন চামড়ার দাম অন্তত দেড় হাজার টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে দাম পেয়েছেন মাত্র ৫৫০ টাকা।