রাজশাহীর তানোরে বাগান সেচ মটর থেকে (এসটিডাব্লিউ) অনুমোদিত সেচ মটরের কমান্ড এরিয়ায় জোরপুর্বক সেচ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২০ জুন বৃহস্পতিবার ফারুক হোসেন ও আজাহার আলী বাদি হয়ে পল্লী বিদ্যুতের (ডিজিএম) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) অমৃতপুর মৌজায় এই ঘটনা ঘটেছে।এঘটনায় বিবাদমান দু'পক্ষের মাঝে টানটান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বাগান সেচ মটর থেকে অবৈধ সেচ বাণিজ্যে বন্ধে, ওই মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা না হলে। যে কোনো সময় খুন-জখম বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে কৃষকেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) আজিজপুর গ্রামের মৃত শামসুল আলমের পুত্র শাফিউল ইসলাম আজিজপুর মৌজায় বাগানে সেচ দেবার জন্য মটর স্থাপন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন। যাহার মিটার নম্বর ২৩২৫৭৬৭৪। অন্যদিকে অমৃতপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের পুত্র ফারুক হোসেন ও লুৎফর রহমানের পুত্র আজাহার আলী সেচ কমিটির অনুমোদন নিয়ে অমৃতপুর মৌজায় (এসটিডাব্লিউ) মটর স্থাপন করেছেন।
এদিকে শাফিউল ইসলাম আজিজপুর মৌজার বাগান সেচ মটর থেকে অমৃতপুর মৌজার অনুমোদিত সেচ মটরের কমান্ড এরিয়ায় সেচ দিচ্ছেন এবং নীতিমালা লঙ্ঘন ও জোরপূর্বক আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন নির্মাণ শুরু করেছেন। যা সেচ নীতিমালা পরিপন্থী ও দন্ডনীয় অপরাধ। কৃষকদের অভিযোগ, শাফিউল ইসলাম রাজনৈতিক পরিচয়ে নিজের ইচ্ছেমতো সেচ চার্জ আদায় করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানান, ড্রেন মেরামত, ভোল্টেজ বাড়ানো নানা অজুহাতে কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এতে কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।তবে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার জমিতে সেচ দেয়া বন্ধ করে দিচ্ছেন।
এদিকে ফারুক হোসেন ও আজাহার আলী অভিযোগ করে বলেন, তাদের অনুমোদিত সেচ মটরের স্কীমে শাফিউল জোরপুর্বক সেচ দিচ্ছে ও আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেন নির্মাণ শুরু করেছে। তাকে নিষেধ করতে গেলে সে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।
অথচ সেচ নীতিমলা অনুয়ায়ী বাগান সেচের মটর থেকে কৃষি জমিতে সেচ দেয়া হলে সেই মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা। এব্যাপারে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী বলেন, অনুমোদিত এক মটরের কমান্ড এরিয়ায় অন্য মটর থেকে সেচ দেয়ার কোনো সুযোগ নাই।
এব্যাপারে রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তানোর (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন, কলমা ইউপির অফিস ইনচার্জ জিল্লুর রহমানকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কলমা অফিস ইন্চার্জ জিল্লুর রহমান বলেন, অভিযোগের সত্যতা পেলে শাফিউল ইসলামের মটরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও শাফিউল ইসলাম মুঠোফোনে (০১৭১৩-৭২৪২৭৮) কল গ্রহণ করেননি।