নিউ ইয়র্কে সাকিবের অশোভন আচরণে হতবাক হয়েছেন বিশ্বকাপ কাভার যুক্তরাষ্ট্রে আসা ক্রীড়া সাংবাদিকরা। গত সোমবার (১০ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ শেষে ছবি তোলার বিষয় নিয়ে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন সাকিব। তার মোবাইল নিয়ে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে তুলে দেন সাকিব। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে পড়েন উপস্থিত সকল সাংবাদিকরা।
সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানে হারে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে ১ ওভার হাত ঘোরানোর পর ব্যাটিংয়ে ৪ বলে ৩ রান করে উইকেট ছুড়ে দেন সাকিব। ম্যাচ শেষে সবাই যখন বিমানবন্দরে উদ্দেশ্যে বাসে উঠে পড়েছেন। এমন সময় বিশ্বকাপ কাভার করতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা মানবজমিনের রিপোর্টারসহ আরও একাধিক সাংবাদিক দূরে দাড়িয়ে ছিলেন। টিম বাসে খেলোয়াড়রা ওঠার সময় সাধারণত সাংবাদিকরা সবসময়ই পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। হয়তো বিভিন্ন ফুটেজ নেওয়া বা কারও সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে থাকেন তারা। তবে এদিন ভিডিও করতে নিষেধ করায় কোনো সাংবাদিকই সেটা করেননি। এর মধ্যে বাসের একপাশে সাকিব পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছিলেন। স্ত্রী ও তিন সন্তানের সঙ্গে ছিলেন তরুণ দুই যুবকও।
তখন সাকিবের সন্দেহ হয় মানবজমিনের রিপোর্টার হয়তো ভিডিও করছেন। তার হাতে মোবাইল ও ট্রাইপড ছিল, কিন্তু আসলে তিনি কোনো ভিডিও করেননি। তবুও সাকিবের সন্দেহ হলে তিনি এসে জানতে চান ভিডিও করছেন কিনা। তখন রিপোর্টার সাকিবকে বলেন তিনি কোনো ভিডিও করছেন না। তারপরও সাকিবের সন্দেহ হয়, ‘দেখি, আপনার মোবাইলটা দেখি’ বলতে বলতে তিনি সেটি নিয়ে যান। তবে একবারও নিজে মোবাইলটি চেক করেননি সাকিব। সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীর হাতে তুলে দেন। তবে তারা মোবাইলে কোনো ভিডিও খুঁজে পাননি। তারপর সেই নিরাপত্তাকর্মী এসে রিপোর্টারকে মোবাইলটি ফেরত দিয়ে যান।
তবে এরপরও সাকিবের সংশয় কাটেনি। তিনি বারবার ওই সাংবাদিককে বলতে থাকেন, ভিডিও করে থাকলে ডিলেট করে দিয়েন। যদিও ভিডিও ধারণা করার মতো কিছুই সেখানে ঘটেনি। ওখানে উপস্থিত থাকা সবার কাছেই পুরো ঘটনা বিষ্ময়কর লেগেছে। মূলত পুরো ঘটনায় সাকিবের শারীরি ভাষায় মোটেও ভালো ছিল না, তাকে উদ্দ্বত্ত লাগছিল সবার।