২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৫৫:২৬ অপরাহ্ন


তানোর পৌর নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে সুজন
আলিফ হোসেন, তানোর:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৬-২০২৪
তানোর পৌর নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে সুজন তানোর পৌর নির্বাচনে আলোচনার শীর্ষে সুজন


রাজশাহীর তানোর পৌরসভায় বইছে নির্বাচনের আগাম হাওয়া জমে উঠেছে আলোচনা। তবে তাকে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু কেবলমাত্র মেয়র পদ ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছে। ইতমধ্যে মেয়র পদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ব্যব্য প্রার্থীরা মানবিক ও খাদ্য সহায়তা বিতরণ, এলাকার উন্নয়ন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে আর্থিক অনুদান প্রদান, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে ভোটারদের দৃস্টি আকর্ষণ এবং আলোচনায়  আশার  চেস্টা করছে।এদিকে আলোচনা ও পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন আর্দশিক, তরুণ নেতৃত্ব,  প্রথম শ্রেণীর ব্যবসায়ী, বিশিস্ট সমাজ সেবক ও তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল বাসার সুজন। 

জানা গেছে, মেয়র নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীর যে ধরণের রাজনৈতিক,সামাজিক,পারিবািরক পরিচিতি, আর্থিক স্বচ্ছলতা, ব্যক্তি ইমেজ, উন্নয়ন মানসিকতা, গ্রহণযোগ্যতা ও নেতৃত্বগুন ইত্যাদি প্রয়োজন  সুজন সেই সব গুনের অধিকারী সম্পন্ন প্রার্থী। তিনি এসব বিবেচনায় নির্বাচনের মাঠে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায়  অন্যদের থেকে যোজন-যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের সমর্থনে প্রার্থী হলে তাঁর বিজয় প্রায় নিশ্চিত। 

জানা গেছে,তানোর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে শুধুমাত্র দুর্বল প্রার্থীর কারণে  মেয়র পদে আওয়ামী লীগ বার বার পরাজিত হয়েছে।তবে আগামি নির্বাচনে সুজনকে দিয়ে তারা সেই দুঃখ ঘোচাতে চাই।

স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত তানোর পৌরসভা সৃস্টির পর আগামি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো উচ্চ বিত্তশীল ও সমৃদ্ধ পরিবার থেকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, আর্দশিক, তরুণ ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ সম্পন্ন প্রার্থী দিতে চলেছে আওয়ামী লীগ। সবাই এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। সুজন যদি প্রার্থী হয় তাহলে

তানোর পৌরসভার ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দলই এর আগে সুজনের মতো যোগ্য প্রার্থী দিতে পারেনি। তানোর পৌরসভার মতো জায়গা থেকে সুজনদের নেবার কিছু নাই,তবে দেবার অনেক কিছুই আছে ইতমধ্যে তিনি তার কাজের মধ্য দিয়ে সেটার বাস্তবায়ন ও পৌরবাসির মধ্যে নিজস্ব জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। এখন প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে সুজন মেয়র নির্বাচন করতে চাই কেন ?  কারণ রাজনীতি করে মানুষের জন্য ভাল কিছু করতে গেলে একটা জায়গা বা চেয়ার প্রয়োজন সেই জায়গা করতেই সুজনের নির্বাচনে আশা। এর বাইরে অন্যকিছু নাই। সুজনের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও অবস্থানের সঙ্গে অন্যদের  অবস্থান বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি সকলের কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে এর জন্য রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হবার প্রয়োজন নাই। সুজন মেয়র নির্বাচিত হয়ে তানোরের মানুষের জন্য ইতিবাচক এমন কিছু করে যেতে চাই যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দৃস্টান্ত হয়ে থাকবে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এসব বিবেচনায় 

সুজনকে নৌকা প্রতিক দেয়া হলে তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত। পৌরসভার মধ্যান্চল থেকে প্রার্থী হবার দৌড়ে তিনিই একমাত্র নেতা, ফলে নির্বাচনের মাঠে অন্যদের থেকে তার সুবিধাও অনেক বেশী, সকলেই তাকে শক্ত প্রার্থী বিবেচনা করছে। 

অন্যদিকে করোনা দুর্যোগে ঈদের আগে ও ঈদ পরবর্তী সময়ে তানোর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ইমরুল হক ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের দৃশ্যমান তেমন কোনো কর্মসুচি না থাকায় তাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে, দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। পৌরবাসী এসব বিবেচনায় সুজন আগামিতে মেয়র হচ্ছে এমনটাই মনে করছেন।