রাজশাহীর মহানগরীরতে ফিল্মি- স্টাইলে বাসা থেকে তুলে নিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফ (৪৫) নামে এক ব্যক্তির ওপর সন্ত্রাসী হামলা অতঃপর ভুক্তভোগীকে থানায় সোপর্দের অভিযোগ উঠেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃস্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এদিকে গত ৩ জুন মতিহার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী।অভিযোগে বলা হয়েছে,ভুক্তভোগীর স্বামী একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। সে দীর্ঘদিন যাবত পাবনার মানসিক হাসপাতালের ডাক্তার মামুন এর অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং নিয়মিত ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন শরিফের মাঝে মধ্যেই মাথায় সমস্যা তৈরি হয় এবং মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। গত ১ জুন সকালে মতিহার থানার চোদ্দপায় মোড়ে ১নং বিবাদীর সঙ্গে আমার ভারসাম্যহীন স্বামী গল্প করা কালীন ১নং বিবাদী তার সঙ্গে ইয়ার্কি-ফাজলামি করে একপর্যায়ে আমার স্বামীকে নানামূখী উত্তেজিত করে। পরে আমার স্বামী রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ছোট্ট টুকরো দিয়ে ১নং বিবাদীকে মাথায় আঘাত করেন। কেননা আগেই বলা হয়েছে শরিফ একজন মানসিক ভারসাম্যহীন। তারপরে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তির মাথা কিছুটা ঠান্ডা হলে মানে (সে হুসে ফিরে) এলে ১নং বিবাদীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পরে বিবাদীগন কিছুটা সুস্থ হলে আমার স্বামীর ওপর রাগ করে শরিফ এর নামে নগরীর মতিহার থানা য় গত ২ জুন অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগ দায়ের করার পর বিবাদী আহাসান, টিটু,সাঈদসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন মিলে ওই ভারসাম্যহীন শরিফ এর বাসায় রাত্রি ৯.১০ মিনিট এর সময় ছদ্মবেশে বাসায় প্রবেশ করেন। পরে বাসায় প্রবেশ করার পর আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন এবং আমার স্বামী শরিফকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যেতে চাই। তখন আমি বুলবুলি তাদেরকে বাধা দিলে বিবাদীরা আমাকেও লাঠি মেরে ফেলে দেয় এবং আমি উড়ে গিয়ে ঘরের দরজার সাথে পড়ে যায়। তখন আমার ছেলের বউ মরিয়ম (২২) ঠিক একই ভাবে বাধা দিতে গেলে তাকেও গুরুতর খাম জখম করেন। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক) এ চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও বিবাদীগন তাদের বাসা বিক্রয়ের নগদ ৭ লাখ টাকা এবং এক ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন জ্বোরপূর্বক ছিনিয়ে নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিবাদীগণ শরিফকে (মানসিক ভারসাম্যহীন) জাহাজঘাট ঈদগাহ ময়দানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক আঘাত করেন এবং ঘটনাস্থলে সে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে ১ং বিবাদী আহাসান টানতে টানতে নিয়ে জোরপূর্বক থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। উক্ত ঘটনার স্বাক্ষী হিসেবে এলাকাবাসী উদ্যত হয়েছেন এবং সরজমিনে যা ঘটনা ঘটেছে তা তুলে ধরেছেন।
এই বিষয়ে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মোবারক পারভেজ এর মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করে নি। তাই এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওসির বক্তব্য পাওয়া যায় নি।এবিষয়ে জানতে চাইলে আহসান, টিটু ও সাঈদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে।