২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৯:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন


কোরআনের বর্ণনায় যেভাবে আকাশ-পৃথিবী ধ্বংস হবে
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৬-২০২৪
কোরআনের বর্ণনায় যেভাবে আকাশ-পৃথিবী ধ্বংস হবে প্রতিকী ছবি


সুরা হাক্কাহ‌ কোরআনের ৬৯তম সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৫২ এবং রুকু সংখ্যা ২। সুরা হাক্কাহ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

সুরা হাক্কাহ শুরু হয়েছে ‘হাক্কাহ’ সম্পর্কে প্রশ্নের মাধ্যমে। ‘হাক্কাহ’ শব্দের মূল অর্থ নিশ্চিত বা বাস্তব বিষয়। এখানে ‘হাক্কাহ’ অর্থ কেয়ামত বা শেষ বিচারের দিন যা অবশ্যম্ভাবি বা নিশ্চিত ঘটনা এবং যেদিন আল্লাহর পুরস্কারের ওয়াদা ও শাস্তির সতর্কবার্তা বাস্তবায়িত হবে এবং মানুষের চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারিত হবে।

সুরা হাক্কাহর আলোচ্যবিষয় কেয়ামতের ভয়াবহতা, কোরআন ও ওহির সত্যতা, নবিজির (সা.) রিসালত, কাফেরদের বিভিন্ন অপবাদ, অবিশ্বাস ও পাপাচারের কারণে পূর্ববর্তী বিভিন্ন জাতির শাস্তি ইত্যাদি।

সুরা হাক্কাহর ১৩-১৮ আয়াতে আল্লাহ বলেন,

(১৩)

فَإِذَا نُفِخَ فِي الصُّورِ نَفْخَةٌ وَاحِدَةٌ

ফাইযা নুফিখা ফিসসুরি নাফখাতুওঁ ওয়াহিদাহ।

যখন শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে একটি মাত্র ফুঁ,

(১৪)

وَحُمِلَتِ الْأَرْضُ وَالْجِبَالُ فَدُكَّتَا دَكَّةً وَاحِدَةً

ওয়া হুমিলাতিল আরদুওয়াল জিবালু ফাদুক্কাতা দাক্কাতাওঁ ওয়াহিদাহ।

পর্বতমালাসমেত পৃথিবী উৎক্ষিপ্ত হবে এবং মাত্র এক ধাক্কায় এরা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাবে।

(১৫)

فَيَوْمَئِذٍ وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ

ফাইয়াওমাইযিওঁ ওয়াকা‘আতিল ওয়া-কি‘আহ।

সেই দিন ঘটবে অবশ্যম্ভাবী ঘটনা।

(১৬)

وَانْشَقَّتِ السَّمَاءُ فَهِيَ يَوْمَئِذٍ وَاهِيَةٌ

ওয়া-নশাক্কাতিস সামাউ ফাহিয়া ইয়াওমাইযিওঁ ওয়াহিয়াহ।

সেদিন আকাশ বিদীর্ণ হয়ে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে।

(১৭)

وَالْمَلَكُ عَلَى أَرْجَائِهَا وَيَحْمِلُ عَرْشَ رَبِّكَ فَوْقَهُمْ يَوْمَئِذٍ ثَمَانِيَةٌ

ওয়াল মালাকু আলা আরজাইহা ওয়া ইয়াহমিলু আরশা রাব্বিকা ফাওকাহুম ইয়াওমাইযিন সামানিয়াহ।

ফেরেশতারা আকাশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকবে। সেদিন তোমার রবের আরশ বহন করবে আটজন ফেরেশতা।

(১৮)

يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لا تَخْفَى مِنْكُمْ خَافِيَةٌ

ইয়াওমাইযিন তুরাদূনা লা তাখফা মিনকুম খাফিয়াহ।

সেদিন তোমাদের হাজিরা হবে এমনভাবে যে, তোমাদের কোন গোপনীয়তাই গোপন থাকবে না।

এ আয়াতগুলো থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনা আমরা পাই:

১. এই বিশ্বজগতের ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। কীভাবে এই জগত ধ্বংস হবে তাও নির্ধারিত হয়ে আছে।

২. শেষ বিচারের দিন আটজন ফেরেশতা আল্লাহর আরশ বহন করে নিয়ে আসবে এবং আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা সৃষ্টিজগতের সামনে অবতরণ করবেন।

৩. শেষ বিচারের দিন মানুষকে যখন আল্লাহর দরবারে পেশ করা হবে, তার কোনো গোপনীয়তাই গোপন থাকবে না। ভালো-মন্দ সব কিছুই প্রকাশ্যে চলে আসবে।