রাজশাহীর পুঠিয়ায় এবার দিনে দুপুরে ঘটেছে ভয়ংকর ছিনতাইয়ের ঘটনা। কারিতাস নামের এক ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান সংস্থার কর্মীকে ধারালো ছুরি ধরে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩ জুন) উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া রাঙ্গামাটিয়ায় দুপুর একটার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীর কবলে পড়া গোলাপী খাতুন কারিতাস এনজিওর পুঠিয়া উপজেলার মোল্লাপাড়া শাখায় ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান সংস্থার মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। ওই ঘটনার একদিন পার হয়ে গেলেও হাতেনাতে ছিনতাইকারীকে ধরা হলেও অজ্ঞাত কারণে থানায় কোনো মামলা বা অভিযোগ হয়নি।
ঘটনা বিষয়ে এনজিও কর্মী গোলাপী খাতুন বলেন, আমি বড় রাঙ্গামাটিয়া কেন্দ্র থেকে ঋণ আদায়ের কাজ শেষ করে ওই কেন্দ্রের বাহিরে আসতেই বড় একটি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আমাকে চাকু ধরে। এরপর প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকাসহ আমার কাছে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমি তাদের মধ্যে একজনকে খুব ভালো করে চিনি, সেই কারণে খুঁজতে খুঁজতে মোমিনপুর বাজারে গিয়ে সেখানে একজনকে দেখতে পাই। সেখানে তাকে ধরে ফেলি। দু'জন ছিনতাইকারী ছিল। নাটোরের মোমিনপুর, শিবপুর এলাকার শাওন নামের এক ব্যক্তির নিকট হতে ছিনতাইয়ের ১৭ হাজার ৯০০ শত টাকা ফেরত দেয়। পরে মোমিনপুর বাজারের অপরজন সাদী নামের এক ব্যক্তির মা স্বপ্না খাতুন ছেলের পক্ষে ২০ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।
এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার আয়েন উদ্দিন বলেন, আমার বাড়ির নিকটে ওই এনজিও কর্মী বসেন। এখান থেকে সে যখন বের হয় তখন দু'জন ছিনতাকারী (আরওয়ান ফাইভ) মোটরসাইকেল যোগে এসে এনজিও কর্মীর টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করে। মোমিনপুর গিয়ে একজনকে ধরতে পারে বলে আমি শুনতে পেয়েছি। এরপর সেখান থেকে ১৭ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে আরেক পক্ষ এসে ২০ হাজার টাকা দিয়ে গেছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এদের কঠোর বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে পুঠিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, মেম্বারের মাধ্যমে ওরা মিমাংসা করেছে। এনজিও কর্মীর ৩৭ হাজার ৯০০ শত টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। এনজিও কর্মী আরো টাকা দাবি করছে। আর একজনকে ধরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। #