২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন


"শিক্ষকদের যেটুকু অধিকার ছিল তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে" রাবি অধ্যাপক
রাবি প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৬-২০২৪
"শিক্ষকদের যেটুকু অধিকার ছিল তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে" রাবি অধ্যাপক "শিক্ষকদের যেটুকু অধিকার ছিল তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে" রাবি অধ্যাপক


শিক্ষকদের আজ অনেক জায়গায় সুযোগ-সুবিধা নেই, যা ছিল তাও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যখন ষড়যন্ত্র চলছে এবং শিক্ষকরা যখন এর প্রতিবাদ ফুঁসে উঠেছে তখন সরকারের খুব কাছ থেকে বলা হয় আপনাদের দৌড় কতদূর তা দেখা যাবে। আমরা যেন ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা যা ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়া যাবে।

মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণকে সুপার গ্রেডে অন্তর্ভূক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি অর্ধদিবস কর্ম বিরতি পালনকালে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটা জাতি কখনো এগোতে পারে তাহলে কেন আজ শিক্ষকদের অবহেলা করা হচ্ছে। যারা এই সার্বজনীন পেনশন স্কিম তৈরি করছে তারা কখনো এর ভিতরে আসবে না। তবুও এটি আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সমাজব্যবস্থা একটা ঘোলা পানির মধ্যে আছে। আগে পানি পরিষ্কার করতে হবে তাহলেই মানুষের আস্থা ফিরবে। আমলাতান্ত্রিকরা সবসময় আমাদেরকে হেও করার চেষ্টা করছে। শিক্ষদের জীবনমান উন্নত করা না হলে বাংলাদেশকে মধ্যম উন্নয়ন দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সরকারের সঞ্চালনায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে যেমন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে হয়েছে। এখন এই পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেওয়া অনেকটা সেরকমই মনে হচ্ছে। এজন্য আজ শিক্ষকদের রাস্তার নামতে বাধ্য করেছে। যারা নীতিমালা তৈরি করে তারা কি আমাদের শত্রু? সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যবস্থাকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নতুন পেনশন কাঠামো বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এই অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। তবে সকল পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব প্রয়োজনে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ এক প্রজ্ঞাপনে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় নতুন স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ স্কিমে দেশের ৪০০’র বেশি স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। তবে এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বৈষম্য আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এর আগে, গত ২৬ মে সর্বজনীন এই পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন, ২৮ মে দুই ঘন্টা ক্লাস বর্জন করেন তাঁরা।