দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ১১ জুলাই সাজা ঘোষণার পর তাঁর জেলে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। কিন্তু সেসব নিয়ে একেবারে নিশ্চুপ প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। এমনকী এই দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়ায় একটিবারও স্বামীর পাশে দেখা যায়নি তাঁকে।
যা নিয়ে বেশ গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে কি স্বামী দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিলেন মেলানিয়া ট্রাম্প? এই গুঞ্জনের মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন খোদ ট্রাম্প। বললেন, ”ওর পক্ষে আদালতের এই রায় মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। খারাপ সময়ের মধ্যে রয়েছে ও।”
গত ৩১ মে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে নিউ ইয়র্কের একটি আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, ২০১৬ সালের পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক পর তাঁকে ঘুষ দিয়ে, চাপ দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বলা। পরবর্তী সময়ে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের অভিযোগের ভিত্তিতেই শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। যদিও ট্রাম্প বার বার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। নিউ ইয়র্কের আদালতের ১২ জন জুরি মিলে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এই প্রথমবার আমেরিকার কোনও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দোষী হয়ে কারাবাসের পথে। যদিও ট্রাম্প এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
এই গোটা বিষয়টি নিয়ে একটিবারও প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এমনকী বিচার চলাকালীন আদালতেও দেখা যায়নি মেলানিয়াকে। ছিলেন না স্বামীর পাশেও। ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও কেন চুপ তিনি? এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই স্ত্রীর সামনে কার্যত ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ”ওর পক্ষে এটা খুব কষ্টকর। আমার পরিবারের কাছেও এটা মেনে নেওয়া কঠিন।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”জেলে যেতে আমার কোনও আপত্তি নেই। এমনকী আমার একজন আইনজীবী বলেছিলেন, এটা হতে পারে না। আমি তাঁকে বলেছি, এসবের দরকার নেই। দোষী হলে জেলে যাব। তবে এই ঘটনা আমার উপর যত না অভিশাপ, আমার পরিবারের কাছে তা ঢের বেশি বিপর্যয়ের।” কারাদণ্ড হলেও অবশ্য নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে কোনও সমস্যা হবে না ট্রাম্পের।