চাপ বেড়েই চলেছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপরে। 'বন্ধু' আমেরিকা শনিবারই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তেল আভিভকে। যদিও নিজের দাবিতে অনড়ই রয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে বহু ইজরায়েলিই প্রস্তাবটি মেনে নিতে আর্জি জানিয়েছেন নেতানিয়াহুর কাছে।
বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিড জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির দিকে গেলে তিনিও সমর্থন করবেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে। এদিকে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মট্রিচ ও জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন জিভির হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকার কথা শুনলে তাঁরা সরকার ভেঙে দেবেন! ফলে চাপ বাড়ছেই নেতানিয়াহুর উপরে।
শনিবারই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন ইজরায়েলকে। প্রাথমিক ভাবে অন্তত ৬ মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি হামাসকেও পণবন্দিদের প্রত্যর্পণ করতে হবে। এর পর ধাপে ধাপে গাজা থেকে ইজরায়েলি সেনা সরানো কিংবা প্যালেস্তিনীয় বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও নেতানিয়াহু এখনও এমন কোনও সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহ দেখাননি। তাঁর সাফ কথা, হামাসকে ধ্বংস করে পণবন্দিদের মুক্ত করাই তাঁদের প্রধান লক্ষ্য। গাজা যতক্ষণ ইজরায়েলের জন্য ‘বিপজ্জনক’ থাকছে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতির দিকে যেতে আগ্রহী নন তিনি।
যদিও আমেরিকা জানিয়েছে, হামাসের পক্ষে আর বড়সড় আক্রমণ করাই সম্ভব নয়। গত ৭ অক্টোবর যে ধরনের হামলা তারা করেছিল, তেমন কিছু করার ক্ষমতা আর অবশিষ্ট নেই তাদের। কিন্তু নেতানিয়াহু নিজের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। ফলে পরিস্থিতি আগের মতোই জটিল হয়ে রয়েছে।
এর মধ্যেই মার্কিন প্রস্তাব মানলে সরকার ফেলার হুঁশিয়ারি যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি বিরোধী জোটের তরফে একেবারে উলটো কথা বলা হয়েছে। এদিকে এখন সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা মিলবে এক বিশেষ বাক্যের। 'অল আইজ অন রাফা'। গোটা বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ যুদ্ধবিধ্বস্ত রাফায় আশ্রয় নেওয়া প্যালেস্তিনীয়দের সমর্থনে যে পোস্ট করছে সেখানেই উল্লিখিত হচ্ছে এই বাক্যটি। নিঃসন্দেহে বিশ্বব্যাপী এই চাপও একটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে নেতানিয়াহুর জন্য। এহেন অবস্থায় কতদিন তিনি অনড় থাকতে পারেন, সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।