উদ্দেশ্য ছিল মায়ের নামে থাকা তিরিশ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট হাতিয়ে নেওয়া। তাই নিজের মাকে খুন করে দেহ মাটির নীচে পুঁতে দিল ছেলে। নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শেওপুর জেলায়।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম ঊষা (৬৫)। ওই মহিলাকে খুনের অভিযোগে তাঁর ছেলে দীপক পচৌরিকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই দীপককে দত্তক নিয়ে মানুষ করেছিলেন ঊষা এবং তাঁর স্বামী। কয়েক দিন আগে শেওপুরের কোতওয়ালি থানায় দীপক অভিযোগ জানান যে তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্তে নেমে দীপক এবং তার আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় দীপকের পরস্পর বিরোধী মন্তব্যে পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শেয়ার বাজারে ১৫ লক্ষ টাকা খোয়া যায় দীপকের। তাই টাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল সে।
এর পর তদন্তকারীদের নজরে আসে, মা নিখোঁজ হওয়ার পরই বাথরুমে কিছু কাজ করেছিল দীপক। ওই প্লাস্টার ভাঙতেই ঊষাদেবীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ চেপে ধরতেই দীপক স্বীকার করে নেয়, মায়ের নামে থাকা তিরিশ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট হাতিয়ে নিতেই তাঁকে খুন করেছে সে। কারণ ওই ফিক্সড ডিপোজিটের নমিনি ছিল সে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২৩ বছর আগে একটি অনাথ আশ্রম থেকে দীপককে নিয়ে এসেছিলেন ঊষা এবং তাঁর স্বামী ভূবেন্দ্র। ২০২১ সালে ভূবেন্দ্রর মৃত্যুর পর থেকে মা ছেলে একসঙ্গেই থাকতেন।