যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের অধীনে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে সৌদি আরবে। গত কয়েক বছরে, মধ্য প্রাচ্যের এই দেশ বেশ কিছু সামাজিক সংস্কারের পাশাপাশি, প্রযুক্তির ব্যবহারেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সৌদি আরবেই রয়েছে পবিত্র মক্কা শহর। যে শহরে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ভিড় জমান হজ করতে।
হজযাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতি বছরই বেশ কিছু ব্যবস্থা নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরে হজযাত্রীদের জন্য থাকছে এক নয়া চমক, অনন্য সুবিধা। সেই দেশের পরিবহন ও লজিস্টিক দফতরের মন্ত্রী সালে আল-জাসের জানিয়েছেন, চলতি বছরে হজযাত্রীরা মক্কা শহরের মধ্যে উড়ন্ত ট্যাক্সিতে পরিবহন করতে পারবেন। তাঁদের সুবিধার্থে ব্যবহার করা হবে ড্রোনও।
শুক্রবারই (১০ মে), সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছে বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি। সেই দলকে সৌদিতে স্বাগত জানান পরিবহন মন্ত্রী সালে আল-জাসের। ওই অনুষ্ঠানেই, সৌদির সরকারি সংবাদ সংস্থা আল-আরাবিয়াকে তিনি বলেন, “ট্যাক্সি অ্যাপ্লিকেশন-সহ এই ব্যবস্থাগুলি সবই অত্যন্ত উন্নত মানের পরিবহন ব্যবস্থা। আগামী বছরগুলিতে সর্বোত্তম পরিবহন পরিষেবা সরবরাহ করার জন্য পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। হজযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এই বছরের হজের সময় সৌদি আরব আরও নমনীয় এবং দ্রুত প্রযুক্তি এবং পরিবহনের ব্যবস্থা তৈরি করছে। এই পরিষেবাগুলির উপকার পেতে, আমাদের অবশ্যই এগিয়ে থাকতে হবে।”
প্রসঙ্গত, বিদেশী হজযাত্রীদের অধিকাংশই জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদিতে পা রাখেন। সেখান থেকে তাঁরা যান মক্কায়। জেদ্দার বিমানবন্দর থেকে মক্কার হোটেলগুলিতে যাওয়া সহজ নয়। বিশেষ করে হজের মরসুমে ব্যাপক ভিড় থাকে। এই অসুবিধা দূর করতে, চলতি বছরের শুরুতেই উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিল সৌদি আরব এয়ারলাইন্স। তারা জানিয়েছিল, এই পরিষেবা চালুর জন্য সৌদি আরব প্রায় ১০০টি উড়ন্ত ট্যাক্সি কিনতে চায়। পরিবহন মন্ত্রী সালে আল-জাসের জানিয়েছেন, চলতি হজ মরসুমে পরীক্ষামূলকভাবেই উড়ন্ত ট্যাক্সি ও ড্রোন পরিকল্পনা চালু করা হবে। সফল হলে, অদূর ভবিষ্যতেই এই পরিবহন পরিষেবাগুলি সৌদি আরবে স্বাভাবিক দৃশ্য হয়ে উঠবে। শোনা যাচ্ছে, উড়ন্ত ট্যাক্সিতে চড়ার জন্য যাত্রীদের একেকজনকে ৩৫০ দিরহাম বা প্রায় ৮০০০ টাকা দিতে হবে। চলতি বছরে, ১৪ জুন থেকে হজ যাত্রা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।