যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোন কাজে দূতাবাসে গেলে যথাযথ সম্মান পাবেন এবং তাদের কাজ দ্রুত শেষ করবেন বলে ঘোষনা করেছেন নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ডের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মনিরুল ইসলাম জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা অর্জনের বিস্তারিত ব্যখ্যাসহ জননেত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা কোন কাজ নিয়ে দূতাবাসে গেলে তাদেরকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হবে এবং দ্রুততার সাথে কাদের কাজ সম্পাদন করা হবে। তিনি ইতোমধ্যে সকল কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনাও দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
সংগঠনের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুকিত চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম আজিমের পরিচালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথী ছিলেন নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথী ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব নাসির উদ্দিন ও প্রথম সচিব শোয়েব আবদুল্লাহ। মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ডেপুটি কমান্ডারদ্বয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আব্দুল কাদির ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. এস.এম মাসুদ ভূঁইয়া।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন। এরপর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত সর্মাবেত ভাবে পরিবশন করা হয়। এ পর্যায়ে সকল শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এইএইচ এম কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি উসমানী, মুক্তিযুদ্ধের মুক্তিবাহীনীর সকল সেক্টর কমান্ডারগন, মুজিব বাহিনীর ৪ জন সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযুদ্ধের সকল সংগঠনক ও নেতৃত্ব, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরলোকগতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক।
প্রথমে মঞ্চের অতিথীদের নিয়ে কমান্ডার জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন এরপর উপস্থিত সকলে একে একে প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশেষ অতিথি নাসির উদ্দিন তার বক্তব্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের উাজ্জল অবস্থান ও বিভিন্ন কার্যক্রমে সাফল্যের বর্ণনা দেন। সেই সাথে রাষ্ট্রদূতের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না পারার প্রেক্ষাপট জানান ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা ব্যাক্ত করেন। আপনারা মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমাদেরকে একটি দেশ উপহার দিয়েছেন- আজ আমরা গর্বিত জাতি।
সভায় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাসেম সকরার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মইনুর রহামন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মলিন চন্দ্র সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মঈনুদ্দিন আজহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবসার মিঞা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান,বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম আজিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.এস.এম. মাসুদ ভুঁইয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আব্দুল কাদির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত আব্দুল চৌধুরী কে প্রধান অতিথি কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে বানিয়ে আনা যুদ্ধকালীন মানচিত্র ও সংগঠনের লগো সম্বলিত উত্তরীয় পরিয়ে দেন ও এরপর প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন নিজ নিজ পরিচয় ব্যাক্ত করেন। সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকিত আব্দুল চৌধুরী তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্ভুদ্ধ হয়ে জাতীর জনকের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান।
রাজশাহীর সময়/এএইচ