২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৩:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন


ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে গেলে যেভাবে আদায় করবেন
ধর্ম ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৪-২০২৪
ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে গেলে যেভাবে আদায় করবেন ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে গেলে যেভাবে আদায় করবেন


শাওয়ালের চাঁদ মানে ঈদুল ফিতরের চাঁদ।আজ সন্ধ্যায় আকাশে হাসি দেবে শাওয়ালের বাঁকা চাঁদ। শেষ হবে রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের পবিত্র রমজান । 

বৃহস্পতিবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের দিনের প্রধান আমল নামাজ। এই দিনটি শুরু হবে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে।

অন্যান্য ফরজ নামাজের মত ঈদের নামাজও এক বা দুই রাকাত ছুটে যেতে পারে। তখন করণীয় কি? ছুটে যাওয়া নামাজ কিভাবে আদায় করবেন?

কেউ যদি প্রথম রাকাতে ইমামের কেরাত পড়াকালীন সময়ে নামাজে শরিক হয় তাহলে প্রথমে তিনি তাকবিরে তাহরিমা এবং অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলে ইমামের অনুসরণ করবেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৫৭১৪)

কেউ ইমামকে রুকুতে পেলো। এখন যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলেও ইমামকে রুকুতে ধরতে পারবে বলে মনে হয় তাহলে তাই করতে হবে।

আর যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবির বলে ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে না বলে মনে হয় তাহলে শুধু তাকবিরে তাহরীমা বলে রুকুতে চলে যাবে। রুকুতে গিয়ে হাত না উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। এরপর সময় থাকলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবে। (আলবাহরুর রায়েক: ১/১৬১)

কেউ যদি ২য় রাকাতে ইমামের সঙ্গে শরীক হয় তাহলে ইমাম সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বে এবং রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে। 

অর্থাৎ ছুটে যাওয়া ১ম রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবীর বলবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৮১৩)

কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা তাশাহুদের পর জামাতে শরীক হয় তার করণীয় কী? 

এমন ব্যক্তি ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সূরা কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। আর দ্বিতীয় রাকাতের কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলে নামাজ শেষ করবেন। (ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৫) ।

ঈদের নামাজের রাকাত ছুটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও যথেষ্ট বিব্রতকর। এতে করে ব্যক্তি নিজে মনে কষ্ট পান। সারা মাসের ইবাদত কবুল হয়েছে কিনা এমন সংশয়েও কেউ ভোগেন । 

যদিও এই নামাজের রাকাত ছুটে যাওয়া সাথে সারা মাসের ইবাদত কবুল না হওয়ার সম্পর্ক নেই। আল্লাহ তাআলা সকল রোজাদারকে রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের সৌরভে সিক্ত করুন। 

লেখক: শিক্ষক, শেখ জনূরুদ্দীন রহ দারুল কুরআন চৌধুরীপাড়া মাদরাসা, ঢাকা- ১২১৯।