নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করে। স্থানীয় সময় শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান দু’পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্ব শুরু হয় সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। কনসাল জেনারেলের সভাপতিত্বে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের আলোকে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যসহ ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়ার মাধ্যমে প্রথম পর্ব সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সন্ধ্যায় কনস্যুলেটের মিলনায়তনে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্টের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, এমপি অংশগ্রহণ করেন। প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে সকলকে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য আহ্বান জানান।
কনসাল জেনারেল তাঁর স্বাগত বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে্র সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এ বছরটিতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হওয়ায় তা অতীব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আগামী দিনগুলোতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর ও সুদৃঢ় করার বিষয়ে তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, উক্ত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ পদকপ্রাপ্ত ড. ডেভিড নেলিন, ডেভিড উইসব্রোড, সিনেটর জন ল্যু, অ্যাসেম্বলি উইমেন ক্যাটেলিনা ক্রুজ, অ্যাসেম্বলি উইমেন জেনিফার রাজকুমারসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেলগণ, কূটনীতিকগণ, স্বাগতিক দেশের কর্মকর্তাগণসহ দুইশতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, প্রবাসে বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া অঙ্গনের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে মহিমান্বিত ও আনন্দঘন করেছে। ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার দ্বারা অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।
রাজশাহীর সময়/এএইচ