টিউশন পড়ানোর নামে ছাত্রীকে জোর করে দেখানো হচ্ছিলো পর্ন ভিডিয়ো। এমনই অভিযোগ উঠেছে হরিয়ানার জিন্দ শহরের এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ অঙ্কুর নামে ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। শিক্ষকের এরকম কাণ্ডে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই গৃহশিক্ষকের কাছে বেশ কয়েকমাস ধরে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল ওই ছাত্রী। সেই সময় পড়ানোর পরিবর্তে তাকে পর্ন ভিডিয়ো দেখাচ্ছিলেন ওই গৃহশিক্ষক। ছাত্রী তাতে আপত্তি জানালেও একপ্রকার তাকে জোর করেই পর্ন ভিডিয়ো দেখাতেন গৃহশিক্ষক। প্রথমে ওই ছাত্রী বিষয়টি লজ্জায় তার পরিবারের কাউকে জানাতে পারেনি। পরে অভিভাবকদের কাছে শিক্ষকের কীর্তি ফাঁস করে দেয় ছাত্রী।
বিষয়টি জানার পরেই মেয়ের নিরাপত্তার জন্য তাকে ওই গৃহশিক্ষকের কাছে পাঠানো বন্ধ করে দেন তার বাবা-মা। এর পরেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, ছাত্রীকে টিউশন পড়ানো বন্ধ করে দেওয়ার পরেই তার পিছু ধাওয়া করে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে ওই গৃহশিক্ষক। শুধু তাই নয়, একদিন ছাত্রীর বাবার গাড়ির সামনে বাইক দিয়ে রাস্তা আটকে তাকে হুমকিও দেয় ওই গৃহশিক্ষক। তার হুমকি, ছাত্রীকে টিউশনে পাঠানো না হলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা দেওয়া হবে। এরপরেই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ ওই গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে।
রাজশাহীর সময় / এম জি