২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৭:৫০:০৩ অপরাহ্ন


কেমোথেরাপি নিয়েই জিমে সঞ্জয় দত্ত!
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০১-২০২৪
কেমোথেরাপি নিয়েই জিমে সঞ্জয় দত্ত! কেমোথেরাপি নিয়েই জিমে সঞ্জয় দত্ত!


সুনীল দত্ত ও নার্গিসের ছেলে সঞ্জয় দত্ত। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। মুম্বই বিস্ফোরণে সন্ত্রাসবাদ থেকে ড্রাগ-জেলযাত্রা সবের সাক্ষী এই চরিত্র। একাধিক প্রেম পরে বিয়ে, সন্তানদের নিয়ে এখন সুখের সংসার। বলিউড ডাকে ‘বাবা’ নামে। সেই সঞ্জয় দত্তেরই দু’বছর আগে ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছিল।

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ১৪-এর মঞ্চে অতিথি হয়ে এসে কীভাবে এই মারণরোগের সঙ্গে তিনি লড়াই করেছেন সেকথা শেয়ার করেছেন অভিনেতা।

অভিনেতা বলেন, সে সময়ে তাঁর ক্যানসারের চতুর্থ স্টেজ ছিল। কিন্তু মারণরোগ তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। এমনকী অসুস্থতাকে সঙ্গে নিয়েই নিজের সমস্ত কাজ শেষ করেছেন সঞ্জয়।

কিছুদিন আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘KGF: Chapter 2’ ও শামশেরা ছবির কাজও শেষ করেছিলেন তিনি এভাবেই। কেমোথেরাপি প্রথমে নিতে চাননি। পরে সন্তানদের কথা ভেবে এক মিনিট কেঁদে ফেলেছিলেন।

অভিনেতা জানান, চেক আপের পরে তাঁর দম আটকে আসছিল। দেখা গিয়েছিল, তাঁর ফুসফুসে জল জমেছে। প্রথমে নিউমোনিয়া ভেবেছিলেন চিকিৎসকরা। পরে জানা যায়, আসলে ক্যানসারে আক্রান্ত সঞ্জয়।

প্রথমে কিছুটা মন ভেঙে গেলেও তিনি নিমেষে নিজেকে সামলে নিয়েছিলেন সন্তানদের কথা মনে করে। কেমোথেরাপি নিলে কী কী হতে পারে তা সঞ্জয়কে জানিয়েছিলেন অভিনেতার চিকিৎসক।

কিন্তু সঞ্জয় চিকিৎসককে বলেছিলেন, কোনও বমি হবে না, কোনও চুল পড়বে না। অভিনেতা ইন্ডিয়ান আইডলে জানান, ‘কেমোথেরাপি নেওয়ার পর আমি সোজা যাই জিমে। ২ ঘণ্টা জিম করি। সেই সময়ই আমি শামশেরা ও কেজিএফ ২-এর শ্যুটিং শেষ করি’।

ক্যানসারকে কোনও ভাবেই নিজের শরীর ও জীবনের উপর অধিকার ফলাতে দেবেন না বলে মনস্থির করেছিলেন সঞ্জয়। সঞ্জয় উপলব্ধি করেন, মন দুর্বল হলে রোগ আরও পেয়ে বসবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা জোর গলায় বলে ওঠেন, ‘আমার কিচ্ছু হবে না।’

২০২০ সালের অগস্টে সঞ্জয়ের ফুসফুসে চতুর্থ স্তরের ক্যানসার ধরা পড়ে। তার কয়েক মাস পরে, তিনি নেট মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমার ছেলে-মেয়েদের সব থেকে ভাল উপহার দিতে চলেছি। নিশ্চিত ভাবে বেঁচে ফিরব আমি।’

শেষ পর্যন্ত তিনি ক্যানসারকে জয় করেছেন বলে জানান সঞ্জয় দত্ত। পরিবার ও অনুরাগীদের দুশ্চিন্তামুক্ত করে এখন তিনি ক্যানসারমুক্ত। সুস্থ রয়েছেন তিনি। ফিরেছেন কাজেও।