২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৩:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের ওপর ঘৃণ্য অপরাধ দমনে নতুন আইন
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৩-২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের ওপর ঘৃণ্য অপরাধ দমনে নতুন আইন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের ওপর ঘৃণ্য অপরাধ দমনে নতুন আইন


যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ এশিয়ানদের ওপর ঘৃণিত অপরাধ দমনে নতুন আইন পাশ হয়েছে জানিয়েছেন সিনেট লিডার ও ডেমক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর চাক শ্যুমার। ‘হেইট ক্রাইম এগেইনস্ট এশিয়ান-আমেরিকান’ শিরোনামে এ আইনটি কংগ্রেসে পাশ হয়েছে বলে সাম্প্রতি নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। 

চাক শ্যুমার বলেন, 'কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং-এর সঙ্গে মিলে কংগ্রেসে একটি আইন করেছি বাংলাদেশিসহ এশিয়ানদের ওপর বিদ্বেষমূলক হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য। বিচার বিভাগ সে দায়িত্বটিই এখন যথাযথ পালন করছেন। বাংলাদেশিরাও আমেরিকান, এশিয়ানরাও আমেরিকান হিসেবে সব ধরনের সুবিধা পাবার অধিকার রাখে।

ডেমক্র্যাট মোর্শেদ আলমের প্রতিষ্ঠিত ‘নিউ আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাব’, ‘নিউ আমেরিকান ইয়ুথ ফোরাম’ এবং ‘নিউ আমেরিকান উইমেন ফোরাম’-এর দশম বার্ষিক ডিনার উপলক্ষে আয়োজিত এ সমাবেশে চাক শ্যুমার অভিযোগ করে বলেন, 'ট্রাম্পের আমলে চীনা তথা এশিয়ান-আমেরিকানদের ওপর বিদ্বেষমূলক হামলার পরিধি বাইডেন আমলে বেড়েছে। বাংলাদেশি-আমেরিকানরাও আক্রান্ত হচ্ছেন চলতি পথে।

প্রবাসীদের কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করে নিউ ইয়র্কের এ সিনেটর বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমি সিনেটে মেজরিটি লিডার থাকবো ততদিনই বাংলাদেশিরা আমার ‘গ্রেট ফ্রেন্ড’ হিসেবে হৃদয়ে জাগ্রত থাকবেন। আজ আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে। কারণ, আপনারা নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এ আমেরিকার উন্নয়নেও অবদান রেখে চলছেন। এসব বিবেচনায় রেখেই আমরা মহামারিতে ক্ষত-বিক্ষত মানুষদের উদ্ধারের জন্য একটি বিল পাশ করেছি। সেই অর্থে ক্ষুদ্র ব্যবসা, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ানোর পথ পেয়েছে। আমি নিশ্চিত হতে চেয়েছি যে, বাংলাদেশিসহ এশিয়ান-আমেরিকানরাও যাতে কিছু অর্থ পায় বেঁচে থাকতে।”

অনুষ্ঠানে সার্বিক নির্দেশনায় ছিলেন ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট আহনাফ আলম। এতে লং আইল্যান্ডের কংগ্রেসম্যান টম সুওজির কাছ থেকে সম্মাননা পদক নেন ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মহিউদ্দিন, আজিজ আহমেদ ও রীনা সাহা।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডেমক্র্যাটিক পার্টির সংগঠক ফখরুল আলম, ফাহাদ সোলায়মান, আব্দুর রহিম হাওলাদার, মোহাম্মদ আলী, আহসান হাবিব, কাজী আজম, ফিরোজ আলম ও নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, আবুল বাশার চুন্নু, শওকত আকবর রীচি, লাবলু আনসার, আবু জাফর মাহমুদ, ইউসুফ চৌধুরী, এম এ হাসান, রাশেদ আহমেদ, রুহুল আমিন, কাজী মনির ও মকবুল হোসেন তালুকদার।

রাজশাহীর সময়/এমজেড