২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১১:১৮:০৫ অপরাহ্ন


অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়েও অসম্পূর্ণ জীবন মিঠুনের
তামান্না হাবিব নিশু :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০১-২০২৪
অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়েও অসম্পূর্ণ জীবন মিঠুনের অগাধ সম্পত্তির মালিক হয়েও অসম্পূর্ণ জীবন মিঠুনের


৮ দশকের বহু সেরা ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের৷ অনেক সুপার ডুপার হিট ছবির তিনিই ছিলেন নায়ক৷ বলিউডেরে হিরো মিঠুনের ভক্ত সংখ্যাও অগুণতি৷ তবুও জীবনে থেকে গেল বড় আফশোস!

বলিউডের ডিস্কো ডান্সার৷ বাঙালি এই অভিনেতার ক্যারিশমাই আলাদা৷ অন্যান্য বলিউড হিরোদের থেকে অনেকটাই আলাদা ছিল মিঠুনের চালচলন৷ তিনি ডিস্কো কিং, নাচে-অভিনয়ে পারদর্শী৷ সমসাময়িক অনেক হিরোকেই তিনি ছাপিয়ে গিয়েছিলেন৷ তবুও কপালে জোটেনি অনেক কিছু৷

৭র দশকে মৃগয়া ছবিতে তাঁর অভিনয়ের যাত্রা শুরু৷ এর জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। ৮এর দশকে বলিউডে ছিল তাঁর আধিপত্য৷ ডিস্কো ডান্স মানেই বাংলার মিঠুন চক্রবর্তী! নিজের একটি আলাদা ব্র্যান্ড তৈরি করেছিলেন এই নায়ক৷ ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, এখন তাঁর মোট সম্পদ ৪১৩ কোটি টাকা।

ডিস্কো ড্যান্সার তো বটেই,অন্য অনেক ছবিতেই তাঁকে দেখা গিয়েছে৷ কোন কোন ছবিতে তিনিই হিরোর ভূমিকায়, কখনও আবার স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন অন্য স্টারদের সঙ্গে৷ কর্মজীবনে মিঠুন ২৮০টি বলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে ৫১টি বক্স অফিস হিট৷ যার মধ্যে তিনটি আবার ব্লকবাস্টার ছিল।

বলিউডে সিনিয়ার সুপারস্টার হিসেবে আসে অমিতাভ বচ্চন, রাজেশ খান্নার মতো নাম৷ এর পরের সময়ের সুপারস্টার হিসেবে উঠে আসে শাহরুখ খান, সলমন খান, আমির খান এবং অক্ষয় কুমারের নাম। মজার ব্যাপার হল, বচ্চনের পরে এই নামগুলির মধ্যে কেউই মিঠুনের মতো হিট ছবি পায়নি।

মিঠুনও ছিলেন সেই তারকা যিনি তাঁর ব্লকবাস্টার ডিস্কো ডান্সার দিয়ে ১০০কোটি টাকার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ছবিটি ভারতে ৬কোটি টাকার একটু বেশি আয় করেছিল, যা ৮এর দশকের শুরুতে একটি বিশাল পরিমাণ ছিল।

ডিস্কো ড্যান্সার কয়েক বছর পরে সোভিয়েত ইউনিয়নে মুক্তি পায়, যেখানে এটি ৯৪কোটি টাকা আয় করে, সমস্ত আয়ের রেকর্ড ভেঙে দেয়, যার বিশ্বব্যাপী মোট আয় ১০১ কোটি টাকা।

‘ডিস্কো ড্যান্সার’ ছাড়াও মিঠুন চক্রবর্তী নিরাপত্তা, সহস, ভারদাত, ওয়ান্টেড, বক্সার, পেয়ার ঝুকতা নেহি, পেয়ারি ব্রাহ্মণ, অবিনাশ, ডান্স ডান্স, প্রেম প্রতিজ্ঞা, মুজারিম, অগ্নিপথ, যুগন্ধর, দ্য ডন এবং জল্লাদের মতো ছবিতে কাজ করেছেন। মিঠুন গত ৪৭ বছর ধরে ছবির জগতে সক্রিয় রয়েছেন এবং এখনও তাঁর পারফরমেন্স সকলের মন ভরিয়ে দেয়৷ কিন্তু আফশোস যে এরপরও তাঁর কপালে জোটেনি সুপারস্টারের তকমা৷ এই অসম্পূর্ণতাই যেন চিরকাল রয়ে যাবে তাঁর জীবনে৷

হিন্দিতে মিঠুনকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এ, যেটি বক্স অফিসে সফল হয়েছিল। বাংলায় তাঁর ছবি কাবুলিওয়ালা মুক্তি পেয়েছে৷ মিঠুন এ পর্যন্ত বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং পঞ্জবি ছবি সহ ৩৫০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, মিঠুন চক্রবর্তী তার ক্যারিয়ারে ১৮০টি ফ্লপ ছবিও দিয়েছেন কিন্তু তিনি এখনও ইন্ডাস্ট্রিতে আধিপত্য বিস্তার করেছেন। এখন টিভি রিয়েলিটি শোতে বিচারক হিসেবে কাজ করছেন।