আরএমপি’র কনস্টেবল মো. রবিউল আউয়ালের সাহসিকতায় সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডিউটি করার জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ হতে ২০০ জন পুলিশ সদস্য সিরাজগঞ্জ জেলায় যায়। সারা দেশের ন্যায় (৭ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র উৎসবমূখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছিলো। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষক খায়রুল বাশারে অধীনে দায়িত্ব পালণ করছিলেন কনস্টেবল মো. রবিউল আউয়াল। সকাল ১০ টায় দিকে দুর্বিত্তরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। একটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ককটেল বিস্ফোরণের সময় ভোট দিতে আসা লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর সকাল সাড়ে ১১ টায় ৩০-৩৫ জন দুর্বৃত্ত রামদা, হাঁসুয়া ও লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় ওই কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা রবিউল একাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হামলাকারীদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যান। এদিকে আনসার সদস্যরাও আড়ালে চলে যায়। হামলাকারীদের কেন্দ্রে না ঢোকার জন্য রবিউল বার বার সতর্ক করতে থাকেন। উত্তেজনা বাড়তে থাকলেও তিনি পেশাদারত্ব দেখিয়ে তাঁর অবস্থান থেকে সরে যাননি।
হামলাকারীরা রবিউলের প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। তারা বাহির থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে করতে থাকে। এতে নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক আহত হন। এভাবে সে প্রবল সাহসিকতা দেখিয়ে হামলাকারীদের কিছু সময় ঠেকিয়ে রাখেন। এ খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়। ঘটনাস্থল হতে পুলিশ ৪ জনকে আটক করে। রবিউলের সাহসী ভূমিকায় এলাকাবাসী ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রবিউল আউয়ালের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আজ সকালে সিরাজগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) তাকে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন।