প্রতিদিনই ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে রাশিয়ার হামলার খবর প্রকাশ করছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তুলে ধরছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। রুশ সেনাবাহিনীও জানাচ্ছে তারা ইউক্রেনের কোন কোন স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে একটি রেডিও স্টেশন ও গোয়েন্দা তথ্যকেন্দ্র ধ্বংসের দাবি করেছে রুশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়াও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে ড্রোনের সাহায্যে ইউক্রেনের ৬৯টি সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে উসকানিরও অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া। শনিবার (১৯ মার্চ) দোনবাসের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রুশ সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণের পর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, লভিভে পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেনের একটি গোষ্ঠী। আর এ হামলার দায় রাশিয়ার ওপর চাপানোর পরিকল্পনা ছিল বলেও দাবি করেছে মস্কো। কিয়েভ সবকিছু জেনেও এসব প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রাশিয়ার।
এদিকে ইউক্রেনে আবারও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রোববার (২০ মার্চ) ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একটি জ্বালানি তেল মজুত স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে স্থাপনাটি।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২০ মার্চ) ইউক্রেনে ‘কিনঝাল’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়ার সেনারা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতির এই কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর একটি স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
শনিবার (১৯ মার্চ) ও রোববার (২০ মার্চ) ইউক্রেন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। এর মধ্যে শনিবারের হামলায় একটি প্ল্যান্ট পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই প্ল্যান্টে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের সাঁজোয়া যানগুলো মেরামত করা হতো। আর রোববার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় একটি তেল মজুতের স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়ার আকাশসীমা থেকে ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত চলতে পারে রাশিয়ার তৈরি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝাল। ফাঁকি দিতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকেও। রাশিয়ার তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি উঠতে পারে ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। সর্বোচ্চ ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে এটি।
রাজশাহীর সময়/এএইচ