উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে আগামী দিনে দৃশ্যমান শিক্ষানগরী থেকে স্মার্ট নগরী গড়তে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাজশাহী-২ আসনে ১৪ দল মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা।
বুধবার বিকেলে নগরীর কোর্ট অঞ্চলের হড়গ্রাম বাজার থেকে শুরু করে কোর্ট স্টেশন পর্যন্ত গণসংযোগকালে জনসাধারণের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান।
এসময় জনতাকে উদ্দেশ্য করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, গত তিন মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আপনারা আমার ওপর অগাধ আস্থা রেখেছেন। এর জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আজ থেকে ১৫ বছর আগের রাজশাহীর দিকে তাকান; আর আজকের রাজশাহী দেখুন; পার্থক্য নিজেরাই উপলব্ধি করতে পারবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি ও আন্তরিক সহযোগিতার কারণে রাজশাহী আজকে সারাদেশের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তার নেতৃত্বেই রাজশাহী আজকে শিক্ষা নগরী। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি আপনাদের বলতে চাই, আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখে যদি আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দেন; তবে সারাদেশে আমাদের রাজশাহী নগরীই হবে প্রথম স্মার্ট নগরী। এ সময় স্লোগান দিয়ে সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীরা নৌকায় ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করেন।
বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে সাবেক তুখোড় এই ছাত্রনেতা বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আগুন সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার খেলায় মেতে উঠেছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড- থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। তারা বাসে আগুন দিচ্ছে, চলন্ত ট্রেনেও আগুন দিচ্ছে। তারা আসলে কাদের জন্য রাজনীতি করে সেটি আমরা বুঝিনা। তবে তারা সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করে না সেটি অবশ্যই বুঝতে পারছি। কারণ তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করলে কখনোই মানুষকে পুড়িয়ে মেরে ফেলত না। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আছি, তাদের দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। প্রথমটি তাদের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে নির্বাচনকে উৎসবমুখর নির্বাচনে পরিণত করা; এবং দ্বিতীয়টি তারা যেন সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষতি করতে না পারে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক তথা সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। তাই আসুন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে শক্তির ঐক্যকে সমুন্নত রাখি।
গণসংযোগ কালে নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রগতিশীল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দসহ সাধারণ জনতা উপস্থিত ছিলেন।