মালগাড়ির ধাক্কায় ৩ হাতির মৃত্য়ু ঘটে। আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ারে আসছিল মালগাড়িটি। সেইসময়ই মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে, মালগাড়িটি যখন শিলিগুড়ি জংশন থেকে আলিপুরদুয়ারের দিকে আসছিল, তখনই হাতির দলটি লাইন পারাপার করছিল। সেই লাইন পারাপারের সময়ই মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দিনের আলোয় কীভাবে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটল? মনে করা হচ্ছে, মালগাড়িতে আচমকা ব্রেক কষলে উলটে যেতে পারে ট্রেন। তাই গতি কমিয়ে ব্রেক কষা হয়। কিন্তু গতি কমিয়ে ব্রেক কষলেও অনেকটা এগিয়ে যায় ট্রেন। যারফলেই মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এবার সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের। সবপক্ষকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামার নির্দেশ। বারবার মৃত্যুফাঁদে চাপে পড়তে পারে রেল।
উল্লেখ্য, রেল ও বন দফতরের বৈঠকে বার বার ট্রেনের গতি কমানোর কথা বলা হয়েছে ওই এলাকায়। সেখানে দিনের আলোয় কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল? একসঙ্গে ৩টি হাতি কী করে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ল? তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠছেই। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ঘটনাটি ঘটেছে সকাল সাতটা কুড়ি নাগাদ। ওই এলাকাটি হাতির করিডর এলাকা-ই ছিল। কিন্তু রেল সূত্রে দাবি, ওই এলাকায় সকাল ৫টা পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর নিয়ম আছে। তারপর আর কোনও গতির বাধা নেই। যে মালগাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি খালিও ছিল। কিন্তু তাহলে কেন ৩টে হাতি মারা গেল? উঠছে প্রশ্ন।