দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো দলীয় সংসদ সদস্য নির্দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দলীয় হোক, নির্দলীয় হোক বা সংরক্ষিত নারী আসনের হোক-সংসদ সদস্য পদে থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারবে।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার পরিচালক শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোন দলীয় সংসদ সদস্য নির্দলীয়ভাবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে এই মর্মে সংবাদ প্রকাশ হয়। তবে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে নিম্নোক্ত শর্তসমূহ পরিপালন করতে হবে মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
ইসি জানায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সহিত সংযুক্ত করিতে হইবে। তবে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদের কোন নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হইয়া থাকিলে উক্ত তালিকা প্রদানের প্রয়োজন হইবে না।
সেক্ষেত্রে দলীয় সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে না। দলীয় হোক, নির্দলীয় হোক বা সংরক্ষিত নারী আসনের হোক-সংসদ সদস্য পদে থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারবে।
বর্তমান সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র হওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার এক বক্তব্য নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আপনারা সবাই জানেন, সংসদ সদস্যরা পদে থেকে (ভোট) করতে পারবেন না যদি উনারা স্বতন্ত্র করতে চান, তাহলে অবশ্যই উনাদের পদত্যাগ করতে হবে- এটা হলো আইনের কথা।
তবে এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলছেন, সংসদ সদস্যদের স্বতন্ত্র প্রার্থীতা নিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানার ওই বক্তব্য হয়ত ‘স্লিপ অব টাং’। সংসদ সদস্যরা আইন অনুযায়ী পদে থেকে নির্বাচন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কারো পদত্যাগের প্রশ্ন আসে না। দলীয় হোক, নির্দলীয় হোক বা সংরক্ষিত নারী আসনের হোক- সংসদ সদস্য পদে থেকেই তিনি প্রার্থী হতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।