আড়াই মাসের মাথায় গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের জন্য সুখবর। শুক্রবার সকাল থেকেই গাজায় শুরু হচ্ছে চারদিনের যুদ্ধবিরতি। একই দিনে শুরু হবে বন্দি মুক্তিও।
বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছে কাতারের বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু যুদ্ধবিরতি শুরু হতেই ফের শোনা গেল সাইরেনের আওয়াজ। হামাসের সঙ্গে সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই অন্তত দুমাস ধরে চলবে সামরিক অভিযান। হুশিয়াঁরি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের।
শুক্রবার যুদ্ধবিরতি শুরুর পরেই গাজা সংলগ্ন দুটি ইজরায়েলি গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করে প্রশাসন। ওই দুই গ্রামে হামাসের রকেট হামলার পরিকল্পনার আশঙ্কা রয়েছে ইজরায়েলের। অন্যদিকে যুদ্ধ বিরতির আগেই হাসপাতাল লক্ষ্য করে ইজরায়েল হামলা চালিয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ এনেছে হামাস।
যুদ্ধ বিরতি শুরুর পরেই পালটা আক্রমণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। গ্যালান্ট সাফ বলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কেটে গেলে ফের শুরু হবে ইজরায়েলের অভিযান। অন্তত আরও দুমাস ইজরায়েলের সেনা অভিযান চালাবে।
৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস। সেই প্রস্তাব মেনে বুধবার ইজরায়েলের ক্যাবিনেটে ভোটাভুটির মাধ্যমে চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সঙ্গে জানানো হয়, শুক্রবার ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে দশটা থেকে শুরু হবে যুদ্ধবিরতি। ওইদিনই হামাস সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ১৩ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে।
মধ্যস্থতাকারী কাতারের বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, একই পরিবারের সদস্য শিশু ও মহিলাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া ইজরায়েলের জেলে বন্দি থাকা প্যালেস্টাইনিদেরও ছেড়ে দেওয়া হবে। যদিও ইজরায়েল ঠিক কাদের মুক্তি দেবে সেবিষয়ে বিশদে জানা যায়নি।