২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১০:৪০:৩৯ অপরাহ্ন


শ্রম অধিকার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
শ্রম অধিকার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী File Photo


বিশ্বে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশগুলোতে কঠোর পদক্ষেপের যে বার্তা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে, তাতে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হওয়ার যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ নেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যটি মোটেই বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়, এটি বৈশ্বিক বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত কমনওয়েলথের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

শ্রম অধিকারকর্মী কল্পনা আক্তারকে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা অবশ্যই পরবর্তী আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে জিজ্ঞেস করব। কল্পনা আক্তার ২০১০ সালে একবারই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে আরও একাধিক শ্রমিক নেতা চাকরিরত অবস্থায় আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। পরবর্তী সময়ে তাদের মামলাটি তুলে নেওয়া হয়।

কল্পনা আক্তার খুব সফলতার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করে তার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পরে পশ্চিমা দেশের কিছু ক্রেতা যখন সেই কারখানাগুলোকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করল, তখন কল্পনা আক্তার এবং আরও দুয়েকজন মিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে এর প্রতিবাদ করলে সেখানেই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কল্পনা আক্তার যে বাংলাদেশে হুমকি বোধ করেছেন, এটা অতীতে তিনি কখনোই আমাদের জানাননি।

শ্রম অধিকার নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বক্তব্যটি মোটেই বাংলাদেশকেন্দ্রিক নয়। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের একজন গার্মেন্ট নেতা বা কর্মী কল্পনা আক্তার। দেশ উল্লেখ করে দু-তিনটি আলাদা দেশের নাম বলেছেন, কিন্তু বাংলাদেশের কোনো ইস্যু সেখানে উল্লেখ করেননি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতিযোগী দেশগুলোতে কোথাও যুক্তরাষ্ট্র এতটা সুবিধা পায় না, কোথাও এতটা সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই, যা বাংলাদেশ করেছে। এ কারণে বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বাংলাদেশের গার্মেন্ট বা শিল্পের উদ্বেগের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনোভাবেই বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের মার্কিন পদক্ষেপের জন্য উদ্বিগ্ন হওয়ার যুক্তিযুক্ত কোনো কারণ নেই।

বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে কোনো একটি বা বিশেষ দলের অংশগ্রহণ অনিবার্য নয়। কিন্তু সবার অংশগ্রহণ নির্বাচনের সৌন্দর্য বাড়ায়। 

কমনওয়েলথের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে শাহরিয়ার আলম জানান, কমনওয়েলথের সঙ্গে আরও অনেক সহযোগিতার জায়গা রয়েছে, অভিবাসন, নারীর ক্ষমতায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে আমরা অব্যাহতভাবে কাজ করে যাব।

তিনি আরও বলেন, আগে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যারা কথা বলেছেন, তাদের সঙ্গে কমনওয়েলথের গুণগত পার্থক্য রয়েছে। তারা জানেন, বাংলাদেশ বা দক্ষিণ এশিয়ায় নির্বাচন সময়ে একটু অস্থিরতা থাকে।