২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:৪৬:৩৬ পূর্বাহ্ন


আধুনিকায়ন হচ্ছে বুড়িমারী স্থল বন্দর, কমবে যাত্রীদের হয়রানি
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
আধুনিকায়ন হচ্ছে বুড়িমারী স্থল বন্দর, কমবে যাত্রীদের হয়রানি File Photo


পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের উন্নত সেবা দিতে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর। বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে এরই মধ্যে আরও ৬০ একর ৮৯ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবে স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

বুড়িমারী স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি করা মালামাল সংরক্ষণ ও পার্কিং নির্মাণে স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে বাংলাদেশের অন্যতম স্থল বন্দর বুড়িমারী স্থল বন্দর। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বাড়ানোর উদ্যোগ এর অংশ হিসেবে অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে এই স্থলবন্দরটির। ফলে বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য প্রতিবেশীদের বন্দর সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,বুড়িমারী স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে অধিগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া কমবে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি।

বুড়িমারী স্থলবন্দর  সূত্রে জানা যায়, ১১ একর ১৫ শতক জমির ওপর বুড়িমারী স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও আমদানি-রফতানিকারকদের সেবা দিয়ে আসছে। বন্দরে একটি প্রশাসনিক ভবন, তিনটি ডিজিটাল ওয়েব্রিজ স্কেল, একটি ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ভবন, একটি শ্রমিক বিশ্রামাগার, দুটি ৪০০ টন ধারণ ক্ষমতার শেড, একটি এক হাজার টন ধারণক্ষমতার শেড, দুটি ট্রান্সশিপমেন্ট শেড ও দুটি ওপেন ইয়ার্ড রয়েছে। স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ’ নামে প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে বুড়িমারী স্থল বন্দর।

বুড়িমারী কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলীম জানান, ‘পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলে,তার বিপরীতে সেবার মান নিম্নমুখী। এজন্য সরকার ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সেবার মান নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে সব পক্ষেরই সুবিধা হবে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়নের কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে বিশ্বমানের একটি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর ফলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা আমূল পরিবর্তন হবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে এতে যেমন সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে তেমনি সব ধরনের চোরাচালান ও অনিয়ম বন্ধের পাশাপাশি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান।