২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৮:০২:৩৬ অপরাহ্ন


রামেবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন
স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৩-২০২২
রামেবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন রামেবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন


রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (রামেবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টায় রামেবির অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ.জেড.এম মোস্তাক হোসেন। এরপর সকাল ১০টায় রামেবি’র কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রামেবির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. এ.জেড.এম মোস্তাক হোসেন। সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মদিন আজ। ১৯২০ সালের এদিনে বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিলেন এক মহাপুরুষ। তিনি আমাদের জাতির পিতা, শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামের এই দেশটি তিনি উপহার দিয়েছেন। দিয়েছেন বাঙ্গাালিকে একটি জাতি হিসেবে আত্ম পরিচয়ের সুযোগ। তাই তো তিনি আমাদের জাতির পিতা। দুঃখী মানুষদের ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে নিজের জীবনের সব সুখ-আরাম বিসর্জন দিয়ে তিনি সংগ্রাম করেছেন। বারবার কারাবরণ করেছেন। মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাঁকে ব্যথিত করতো। অধিকার হারা দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে তিনি দ্বিধা করেননি। এই বঙ্গভূমির বঙ্গ-সন্তানদের একান্ত আপনজন হয়ে উঠেছিলেন- তাই তিনি ‘বঙ্গবন্ধু’।

উপাচার্য আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে যে ঋণে আবদ্ধ করে গেছেন, সেই ঋণ শোধ করা যাবে না। তাঁর সেই ঋণ শোধ করতে হলে আমাদের সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যেই কাজ করে যেতে হবে।ঘাতকের নির্মম বুলেট কেড়ে নিয়েছে জাতির পিতাকে। তাঁর নাম বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেষ্টা করেছে। ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। পৃথিবীর মানচিত্রে যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, জাতীয় সংগীত থাকবে এবং সোনার বাংলার পতাকা সমুন্নত থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম চির-অম্লান থাকবে।

এ আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, রামেবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. আনোয়ারুল কাদের, পরিচালক (প.উ.) ইঞ্জিনিয়ার মো: সিরাজুম মুনির, ডা. মো: জাকির হোসেন খোন্দকার, পরিচালক ( অ.হি.),পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হাবিব, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ডা. জাওয়াদুল হক, উপ- পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডা. মো: সারওয়ার জাহান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এর একান্ত সচিব (ভারপ্রাপ্ত) মো: ইসমাঈল হোসেন, উপ-রেজিস্ট্রার ডা.মো: আমিন আহমেদ খান, সহকারী-রেজিস্ট্রার মো: রাসেদুল ইসলাম, সহকারী কলেজ পরিদর্শক (চ.দা) মো: নাজমুল হোসাইন, সহকারী পরিচালক (অ.হি.) মো: মফিজ উদ্দিন, সহকারী-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডা. মো: আমীর হোসেন, কবির আহমেদ, মোসা: সিমা আক্তার, মো: মেহেদী মাসুদ সানি, মো: আশরাফুল ইসলাম, মো: মেহেদী হাসান, মো: গোলাম রহমান, মো: আব্দুস সোবহান মোসা: সানজিদা হান্নানসহ রামেবির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে কর্মকর্ত-কর্মচারীদের সন্তানদের অংশ গ্রহনে চিত্রাংকন প্রতিয়োগীতার অয়োজন করা হয় এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন করা হয়।

এছাড়া ১টার দিকে রামেবির উপাচার্য রাজশাহীর আনন্দো ধারা স্কুলে অটিস্টিক শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করেন। পরে তাদের সাথে কুশলাদী বিনিময় করেন।

রাজশাহীর সময়/এএইচ