ইসরাইলি বিমান হামলায় জাতিসংঘ পরিচালিত আল-ফাখুরা স্কুলে, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে এবং উত্তর গাজার তাল আল-জাতারের আরেকটি স্কুলে বহু বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আল-ফাখুরা স্কুলে হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এতে বলা হয়, দুটি হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে আল জাজিরার রিপোর্টার হানি মাহমুদ বলেছেন, স্কুল, হাসপাতাল এবং পাবলিক সুবিধাগুলিতে ইসরাইলি হামলা ‘এখন একটি প্রবণতা বলে মনে হচ্ছে’। একাধিক বিমান হামলা উভয় বিদ্যালয়ে মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে, তিনি যোগ করেছেন। ‘এ হামলায় প্রায় ২০০ জন নিহত হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক লোক থাকায় সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। মানুষ ধ্বংসস্তূপ খনন করে তাদের উদ্ধারের জন্য বেলচা এবং তাদের খালি হাত ব্যবহার করছে,’ তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন।
অবিরাম ইসরাইলি হামলা থেকে পালিয়ে উভয় স্কুলে কয়েকশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। আল-ফাখুরার উপর হামলাটি ভোরের দিকে হয়েছিল বলে মনে করা হয়, যখন তাল আল-জাতারে আক্রমণটি হয়েছিল দিনের পরের দিকে। ‘সর্বত্র লাশ রয়েছে এবং মেডিকেল দলগুলো আহতদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে,’ আল-ফাখুরা স্কুল আল জাজিরার রিপোর্টার তারেক আবু আজউম জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উত্তর গাজায় ইসরাইলের স্থল আক্রমণের মধ্যে অব্যাহত লড়াইয়ের সাথে, অনেক ফিলিস্তিনি সুরক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের আশেপাশে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ‘জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে আশ্রয় নেয়া লোকেরা, যাদের অনেকের চিকিৎসার প্রয়োজন ছিল, তারা ভেবেছিল যে তারা সেখানে সহিংসতা থেকে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু ইসরাইলি সেনাবাহিনী একটি বার্তা পাঠাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে: গাজা উপত্যকা থেকে পালিয়ে যাও,’ তিনি বলেছিলেন।
আল-ফাখুরা স্কুলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ‘দৃশ্যগুলো ভয়ঙ্কর ছিল। মাটিতে পড়ে ছিল নারী ও শিশুদের লাশ। অন্যরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিল,’ গুরুতর আহত আহমেদ রাদওয়ান ফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন। স্থানীয় একটি হাসপাতালের ছবিতে দেখা গেছে ২০টিরও বেশি লাশ রক্তমাখা চাদরে মোড়ানো। সূত্র: আল-জাজিরা।