ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলায় চালিয়েছে ইসরাইল। এই হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) স্থানীয় নাসের হাসপাতালের পরিচালকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিস এলাকার একটি আবাসিক ভবনে হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন।
নাসের হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হামাদের আবাসিক ভবনে হামলায় নিহত ২৬ জনের মরদেহ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এছাড়া ২৩ জন গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) উত্তর গাজায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে পঞ্চমবারের মতো বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানায়, শুক্রবার সকালে কয়েকটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। এতে এখন পর্যন্ত ১৮ জন নিহত হয়েছে।
জাবালিয়া গাজার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোর মধ্যে একটি। সংঘাত শুরুর হওয়ার পর এই শিবিরে অসংখ্য হামলা চালানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শুক্রবার সকালের হামলায় অনেকেই নিহত ও ডজন খানেক আহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকশ এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
গত মাসে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই শরণার্থী শিবিরগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। চলতি মাসের শুরুর দিকে টানা তিন দিন জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায় ইসরাইলি বিমানবাহিনী। ওই হামলায় শিবিরের বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়।
এতে ১৯৫ জন নিহত ও ১২০ জন নিখোঁজ ছিল বলে জানিয়েছিল ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরপর গত ১৪ নভেম্বর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী। ওইদিন অন্তত ৩১ জন নিহত হয়। আহত হয় আরও বহু ফিলিস্তিনি।
ইসরাইলি বাহিনীর গত ৪২ দিনের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এই নিহতদের মধ্যে শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা অন্তত ৫ হাজার।