আগামী বছরের হজ কার্যক্রমে অংশ নিতে ৭৮৬টি এজেন্সিকে অনুমতি দিয়েছে সরকার।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সোমবার প্রথম পর্যায়ে অনুমোদিত হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করে তাদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
হজ কার্যক্রমের অনুমতি পাওয়া হজ এজন্সিগুলোকে সব হজযাত্রীর সঙ্গে লিখিত চুক্তি করতে হবে। হজ এজন্সিগুলোকে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক হজকর্মী নিয়োগ দিতে হবে।
অনিবন্ধিত কোনো ব্যক্তিকে হজযাত্রী হিসেবে হজে নেওয়া যাবে না জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যদি কোনো এজেন্সি এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেয়, তবে কারণ দর্শানো ছাড়া তার লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালিকা প্রকাশের পর কোনো হজ এজেন্সি কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে দণ্ডিত হলে ধর্ম মন্ত্রণালয় কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে পারবে।
প্রত্যেক হজ এজেন্সিকে হালনাগাদ হজ লাইসেন্স, ট্রাভেল লাইসেন্স এবং ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করে হজের পরিচালকের সঙ্গে চুক্তি সই করতে হবে।
যেসব হজ এজেন্সির লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, ঠিকানায় ভিন্নতা রয়েছে, দণ্ডপ্রাপ্ত, সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত এবং অভিযোগ নিষ্পত্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে; সেসব এজেন্সির নাম প্রথম তালিকায় রাখা হয়নি বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন হজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। আগামী বছর যারা হজে যেতে চান, তাদের নিবন্ধন শুরু হবে আগামী বুধবার থেকে, যা শেষ হবে ১০ ডিসেম্বর।
সরকারিভাবে আগামী বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা এবং বিশেষ প্যাকেজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে হজ এজেন্সিগুলো ১৪ নভেম্বর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করবে।