২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১২:২৭:৪৭ পূর্বাহ্ন


ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর
Online Desk
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-১১-২০২৩
ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধে ৫ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে ৫ সুপারিশ পেশ করেছেন। অবিলম্বে এই আগ্রাসন বন্ধের জন্য বিশ্ব ক্রমাগত আহ্বান জানিয়ে আসছে। তা সত্ত্বেও ইসরাইলের এই আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। আগে রেকর্ড করা এবং ৮ম বিশেষ ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে সম্প্রচারিত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব পরামর্শ দেন। ৯ নভেম্বর থেকে রিয়াদে এই শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নৃশংস ও নজিরবিহীন আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবের আমন্ত্রণে এই শীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইল পরিচালিত জঘন্য একতরফা যুদ্ধ বন্ধে অবিলম্বে ‘যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ যুদ্ধ অন্যায্য এবং এটি মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নির্মম লঙ্ঘন। এক মাসেরও বেশি সময় গাজা জ্বলছে এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল কোনো বিরতি ছাড়াই নির্দয় তাণ্ডব চালাচ্ছে, হাসপাতাল ও বেসামরিক অবকাঠামোতে বোমাবর্ষণ করছে এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। প্রধানমন্ত্রী তার দ্বিতীয় সুপারিশে বলেন, বিধ্বস্ত গাজার আটকে পড়া বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী উপকরণের অবিচ্ছিন্ন, দ্রুত ও নিরাপদ সরবরাহের জন্য অবিলম্বে একটি মানবিক করিডর খোলার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, বিরামহীন ইসরাইলি বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হওয়ার এ সময়ে মনে হচ্ছে-আমরা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মৃত্যু ও ধ্বংসের দৃশ্য দেখে অচল হয়ে পড়েছি। তৃতীয়ত, শেখ হাসিনা বলেন, নিরপরাধ বেসামরিক মানুষ হত্যা এবং বর্বর উপায়ে এলাকাগুলো উচ্ছেদ করায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এ ধরনের জঘন্য কাজের শাস্তি হওয়া উচিত যাতে গাজায় যাদের বাড়িঘর রয়েছে তারা আবারও তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারে।

চতুর্থত, তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কোয়ার্টেট রোডম্যাপে সম্মত হওয়ার সিদ্ধান্তগুলো পুনরায় দেখে নেওয়া এবং দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে, যা এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যে স্থায়ী শান্তি আনবে।

পঞ্চম পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনের এ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের ভাই ও বোন, যারা ৫৫ বছর ধরে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং তাদের নিজস্ব মাতৃভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন সময় এসেছে যে আমরা সবাই একসঙ্গে তাদের পাশে দাঁড়াই এবং তাদের ন্যায্য দাবিটি উপলব্ধি করতে তাদের সহায়তা করি। তিনি বলেন, নারী ও শিশুরা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যুবকরা তাদের জীবন দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা শান্তিতে বিশ্বাসী এবং অন্য দেশের সব ধরনের যুদ্ধ ও দখলদারির বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, যে কোনো সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক। সবার কাছে আমার আবেদন : যুদ্ধ বন্ধ করুন, অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। প্রতিটি দেশ তার সার্বভৌমত্ব এবং শান্তিতে বসবাসের অধিকার ফিরে পাক। এতেই নিহিত রয়েছে মানবজাতির কল্যাণ।