২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১১:১৮:০৭ পূর্বাহ্ন


ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রবহর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২২
ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রবহর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রবহর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি রাশিয়ার


দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন। চলমান এ যুদ্ধে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। তবে রুশ সেনারা পশ্চিমা এসব অস্ত্র ও এর সরবরাহব্যবস্থাকে এবার লক্ষ্যবস্তু করতে পারে বলে সতর্ক করেছে মস্কো।

শনিবার (১২ মার্চ) রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়েছি যে বিভিন্ন দেশ থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো শুধু একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ নয়, এটি এমন একটি পদক্ষেপ যা এই অস্ত্রবহরগুলোকে বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।

পশ্চিমারা ইউক্রেনের সেনাদের কাঁধে বহনযোগ্য আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা, ট্যাংক ধ্বংস করার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে জানিয়ে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ওয়াশিংটন মস্কোর সতর্কতাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। ফলে ইউক্রেনের বিষয়ে কোনো ‘আলোচনা প্রক্রিয়ায়’ যাচ্ছে না রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। 

রাশিয়া অভিযান শুরু করার আগে অর্থাৎ মস্কো যখন ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছিল, তখন থেকেই বারবার পশ্চিমা শক্তির কাছে সামরিক সহায়তা চেয়ে আসছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে মস্কো শুধু সীমান্তেই থেমে থাকবে না। 

এদিকে রুশ সামরিক অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিনই ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। 

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর নতুন সংকটে ইউরোপ। মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ অভিমুখে অভিবাসী ঢলের মধ্যেই এবার ইউক্রেন থেকে প্রতিদিনই ইউরোপে আশ্রয় নিচ্ছেন হাজার হাজার শরণার্থী। 

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, রাশিয়ার হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ২৫ লাখের বেশি শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ অবস্থায় ইউক্রেন সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারীরা।

রাজশাহীর সময় / এম আর