২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৪:৩২:৩৬ পূর্বাহ্ন


যে ৩ জিনিস মৃতব্যক্তিকে অনুসরণ করে
ধর্ম ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২২
যে ৩ জিনিস মৃতব্যক্তিকে অনুসরণ করে যে ৩ জিনিস মৃতব্যক্তিকে অনুসরণ করে


জীবন যার আছে, তার মৃত্যু সুনিশ্চিত। মৃত্যুর পর ৩ জিনিস মানুষকে অনুসরণ করে। এ তিন জিনিসের মধ্যে দুইটি ফিরে আসে তথা দুনিয়াতেই থেকে যায়। আর একটি জিনিস মৃতব্যক্তির সঙ্গী হয়। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে বিষয়টি সুষ্পষ্ট করেছেন। মৃতব্যক্তিকে অনুসরণকারী জিনিস তিনটি কী?

মৃত ব্যক্তিকে অনুসরণ করা জিনিস ৩টি। এর মধ্যে প্রথম হলো- মৃতব্যক্তির আপনজন তথা আত্মীয়-স্বজন; দ্বিতীয় হলো- মৃতব্যক্তির ধন-সম্পদ এবং তৃতীয় হলো- মৃতব্যক্তির জীবদ্দশায় করা তার আমল। আত্মীয়-স্বজন এবং ধন-সম্পদ মৃতব্যক্তির সঙ্গে যায় না বরং ফিরে আসে। শুধু নেক আমলই তার সঙ্গী হয়। হাদিসে পাকে এসেছে-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন-

يَتْبَعُ الميتَ ثلاثةٌ أهْلُه ومَالُه وعَمَلُه، فيرجع اثنان ويَبْقى واحد: يرجع أهْلُه ومَالُه، ويبقى عَمَلُه

‘তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তিকে অনুসরণ করে- তার আত্মীয়-স্বজন, তার ধন-সম্পদ ও তার আমল। এরপর দুইটি জিনিস (মৃতব্যক্তি থেকে) ফিরে আসে এবং একটি জিনিস (মৃতব্যক্তির সঙ্গে) রয়ে যায়। (অর্থাৎ) তার আত্মীয়-স্বজন ও তার ধন-সম্পদ ফিরে আসে, আর তার আমল (তার সঙ্গে) রয়ে যায়।’ (বুখারি ও মুসলিম)

হাদিস থেকে এ বিষয়টি প্রমাণিত

যখন কোনো মানুষ মারা যায়, তাকে দাফন করতে পেছনে পেছনে গোরস্থানে যায় মানুষ। মৃতব্যক্তিকে দাফন করতে যায় আত্মীয়-স্বজন, আপনজনরাও তার অনুগামী হয় এবং তার সম্পদও তার অনুগামী হয়। অর্থাৎ সম্পদ বলতে তার গোলাম, খাদেমসহ অন্য যারা আছেন তাদের বোঝানো হয়। আর দুনিয়ার জীবনে করা তার আমলও তার অনুসরণ করে। মৃতব্যক্তিকে দাফনের পর দুইটি জিনিস- আত্মীয়-স্বজন ও সম্পদ ফিরে আসে কিন্তু তার আমল তার সঙ্গে রয়ে যায়। যার আমল ভালো হয় সে মুক্তি পায়; আর যার আমল খারাপ হয়, তার জন্য অপেক্ষা করে সীমাহীন বিপদ।

এ কারণেই মহান আল্লাহ মানুষকে স্মরণ রাখার জন্য কোরআনুল কারিমে ঘোষণা করেছেন-

کُلُّ نَفۡسٍ ذَآئِقَۃُ الۡمَوۡتِ ؕ وَ اِنَّمَا تُوَفَّوۡنَ اُجُوۡرَکُمۡ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ ؕ فَمَنۡ زُحۡزِحَ عَنِ النَّارِ وَ اُدۡخِلَ الۡجَنَّۃَ فَقَدۡ فَازَ ؕ وَ مَا الۡحَیٰوۃُ الدُّنۡیَاۤ اِلَّا مَتَاعُ الۡغُرُوۡرِ

‘প্রতিটি প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। আর অবশ্যই কেয়ামতের দিনে তাদের প্রতিদান পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হবে। সুতরাং যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে; সে-ই সফলতা পাবে। আর দুনিয়ার জীবন শুধু ধোঁকার সামগ্রী।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৮৫)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের জন্য একান্ত করণীয়, মৃত্যুর আগে নেক আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়া। অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা। পরকালের সফলতায় কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মেনে চলা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের সফলতা পেতে নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।