২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৫১:১৯ পূর্বাহ্ন


দর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত রাবি শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে উত্তাপ
রাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৩-২০২২
দর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত রাবি শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে উত্তাপ ফাইল ফটো


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রাবাসে ঢুকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করেছে বহিরাগতরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমজাদের মোড়ের এন আর ছাত্রাবাসে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

ছুরিকাঘাতের শিকার সাফফাত নায়েম নাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) রাতে নাফিকে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ছুরিকাঘাত করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত। তবে নার্ভের উন্নত চিকিৎসার জন্য সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

উপউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘তার অবস্থা এখন কিছুটা ভালো। তবে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে, যে কারণে বাম পা অবশ হয়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি বলা যাবে না।’

প্রত্যক্ষদর্শী পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান বলেন, ‘পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শরীফ নামে এক শিক্ষার্থী এন আর ছাত্রাবাসে থাকতেন। সেখানে সিনিয়র-জুনিয়রদের চলাফেরা নিয়ে একটি সমস্যা হয়।

‘ছাত্রাবাসের বড় ভাইদের জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই সে একপর্যায়ে ছাত্রাবাসের মালিকের কাছে অভিযোগ দেয়। অভিযোগের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ সভা ডেকেছিল। শরীফ আমাদেরও সেখানে ডাকে। আমাদের সঙ্গে নাফিও ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘সভায় জুনিয়ররা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চায়। তাই সবকিছু মীমাংসা হয়ে যায়। সভার শেষ পর্যায়ে হঠাৎ ছাত্রাবাসে কিছু স্থানীয় ছেলে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। নাফি সেখানে কেন দরজা লাগানো হল বলে এগিয়ে গেলে বহিরাগতরা তার হাতে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে আহত নাফিকে দেখতে যান উপউপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর।

রাজশাহীর সময় /এএইচ