২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৫২:৫৩ অপরাহ্ন


ওয়াই-ফাইয়ের পরিবর্তে ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রাবির
রাবি প্রতিনিধি :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৩-২০২২
ওয়াই-ফাইয়ের পরিবর্তে ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রাবির ওয়াই-ফাইয়ের পরিবর্তে ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রাবির


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য ভবনে ইন্টারনেট সরবরাহে বিকল্প অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে আইসিটি সেন্টার। তাদের দাবি ওয়াই-ফাই হলের মতো জনাকীর্ণ জায়গার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নয়। সেখানে ওয়াই-ফাইয়ের পরিবর্তে ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। 

আবাসিক হলগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাড়া অন্যান্য হলে প্রতি ফ্লোরে মাত্র ২টি করে রাউটার বসিয়ে ইন্টারনেট দেওয়া হয়। এতে দুইজনের বা একক কক্ষগুলোতে কিছুটা ধীরগতিতে ইন্টারনেট চললেও চারজনের রুম আছে এমন ব্লকে নূন্যতম ইন্টারনেট সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। 

এদিকে বঙ্গবন্ধু হলের প্রতিটি কক্ষের সামনে রাউটার বসানো হলেও আশানুরূপ গতি পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। এর কারণ হিসেবে আইসিটি সেন্টারের ব্যাখ্যা, একটি নির্দিষ্ট পরিসরে অতিরিক্ত রাউটার স্থাপন করাতে সিগন্যালগুলো পরষ্পর ক্রস করে, এতে গতি কমে আসছে ইন্টারনেটের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট গতি ও সরবরাহ নিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে আইসিটি সেন্টারকে। তারা বলছেন, ওয়াই-ফাই রাউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট সরবরাহ হলের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নয়। সেখানে ল্যান (ল্যান্ড এরিয়া নেটওয়ার্ক) সংযোগ পদ্ধতিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করতে চায় তারা।

নতুন ব্যবস্থায় আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি কক্ষেই ল্যান সংযোগ পৌঁছে দিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়। হলের এক বা একাধিক জায়গায় পয়েন্ট থাকবে, সেখান থেকে তার দিয়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপে দেওয়া হবে সংযোগ। আর প্রতিটি কক্ষেই শিক্ষার্থী প্রতি একটি করে ল্যান সংযোগ দেওয়া হবে। 

সাধারণত ল্যান সংযোগ থেকে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযুক্ত করার বিশেষ পোর্ট থাকে। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা সে সুযোগ পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ইচ্ছে করলে রুমে সরবরাহ করা সংযোগের সাথে রাউটার স্থাপন করে মোবাইল ফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন।

রুমে শিক্ষার্থী প্রতি একটি করে সংযোগ দেওয়া থাকবে, সেখান থেকে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা নিজের সুবিধামতো ব্যবহার করতে পারবেন। তবে রাউটার ব্যবহার করতে চাইলে সেটার ব্যয়ভার বহন করতে হবে শিক্ষার্থীদেরকেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরবরাহ করবে কি না সে সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।

আইসিটি সেন্টার সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেসরকারি ইন্টারনেট সরবরাহ প্রতিষ্ঠান বিডিরেনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকয়টি হল ও প্রশাসনিক ভবনে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেই শেষ হয়েছে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সম্ভাব্য প্রকল্প প্রস্তাব জমা দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর সে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে। সেখানে পাস হলেই কাজ শুরু করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. বাবুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) বলেছিলাম এখানে ইন্টারনেট সমস্যার টেকসই সমাধান করা যাচ্ছে না। বিডিরেন জরিপ করে সম্ভাব্যতা যাচাই করে গেছে। আমরা খুব দ্রুত ইউজিসিতে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠাব। 

রাজশাহীর সময় / এম জি