ইসলামীক ডেস্ক: নামাজের রুকু করে দাঁড়ানার পর একটি তাসবিহ-এর সওয়াব লেখার জন্য ফেরেশতাদের একটি দল প্রতিযোগিতা করে। রুকুর পর মর্যাদার এ তাসবিহ পড়া সব নামাজির জন্য কল্যাণ ও উপকারি। যে তাসবিহর সুসংবাদ দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। অনেকেই না জানার কারণে তাসবিহটি পড়েন না। গুরুত্বপূর্ণ তাসবিহটি হলো-
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা ওয়া লাকালহামদ হামদান কাছিরান তাইয়্যিবান মুবারাকান ফিহি।’
অর্থ : ‘হে আমাদের প্রভু! আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; অধিক প্রশংসা; পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা।’
হাদিসের তাসবিহ-এর বর্ণনা
হজরত রিফাআহ ইবনু রাফি যুরাক্বি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, একবার আমরা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে নামাজ আদায় করলাম। তিনি যখন রুকু থেকে মাথা উঠিয়ে বললেন-
سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ
তখন পেছন থেকে এক সহাবি বললেন-
رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ
নামাজ শেষ করে তিনি (নবিজী) জিজ্ঞাসা করলেন, কে এরূপ বলেছিল?
সেই সাহাবি বললেন- ‘আমি।’
তখন তিনি (নবিজী) বললেন, আমি দেখলাম ত্রিশ জনের অধিক মালাইকাহ (ফেরেশতা) এর (তাসবিহ-এর) সওয়াব কে আগে লিখবেন; তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে এ তাসবিহর আরও একটি ফজিলত বর্ণিতে হয়েছে। যার বিনিময়ে মহান আল্লাহ বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আল্লাহর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ইমাম যখন- سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন; তখন তোমরা اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। কেননা, যার এ উক্তি মালাইকাহর (ফেরেশতার) উক্তির সঙ্গে একই সময়ে উচ্চারিত হয়; তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহামদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, প্রত্যেক নামাজের রুকু থেকে দাঁড়িয়ে হাদিসে শেখানো তাসবিহটি পড়ার মাধ্যমে প্রিয় নবির ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভ করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময় / এফ কে