১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:৫৮:১৫ অপরাহ্ন


ইউক্রেনে কোনও দেশ এগিয়ে এলে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে ধরা হবে, হুশিয়ারী পুতিনের
ফাইসাল কনক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২২
ইউক্রেনে কোনও দেশ এগিয়ে এলে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে ধরা হবে, হুশিয়ারী পুতিনের ইউক্রেনে কোনও দেশ এগিয়ে এলে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে ধরা হবে, হুশিয়ারী পুতিনের


যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইউক্রেনে অব্যাহত রয়েছে রুশ হামলা। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেনও। জানা গেছে, নিকোলেভে রুশ বিমান ধ্বংস করেছে ইউক্রেন। গ্রেফতারও হয়েছেন রুশ পাইলট। অর্থাৎ মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভেস্তে গেছে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি। নতুন করে বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে ইউক্রেনে। এরই মধ্যে নতুন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করতে যদি তৃতীয় কোন দেশ এগিয়ে আসে, সে ক্ষেত্রে তাদেরও যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হিসেবে ধরা হবে। আর ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নষ্টের জন্য তাঁরাই দায়ী থাকবে।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করতে চেয়ে ন্যাটোর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ন্যাটো।

তাদের দাবি, আকাশসীমা বন্ধ করলে ইউক্রেনের আকাশের নিরাপত্তার দায়িত্ব বর্তাবে তাঁদের উপর। আর সেক্ষেত্রে রাশিয়ার কোনও বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করলেই সেটিকে গুলি করে নামাতে হবে। আর তা হলে লেগে যেতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। সেই সূত্রেই হুঁশিয়ারিও দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

যদিও যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইউক্রেনে হামলার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। দুই শহরে মানব করিডরের উপর বোমা বর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার দাবি, এবার ফের ইউক্রেনে আক্রমাণাত্মক পদক্ষেপে ফিরে যাচ্ছেন তারা। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র ইগর কোনাসেনকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের দিক থেকে অনিচ্ছার জেরেই ফের আক্রমাণাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, একজন সিভিলিয়ানও বেরতে পারেননি। জাতীয়তাবাদি শক্তি মারিউপোল ও প্রতিবেশি ভলনোভাখাতে সাধারণ মানুষকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে।

তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গত ১০ দিন ধরে যুদ্ধ চলাকালীন রুশ সেনার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যে একাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে সায় দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন। প্রয়োজনে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হতে পারে বলেও জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশন। তাতে দুই পরিষদের ৪৭ জন সদস্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে সায় দিলেও, ১৩টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে।

রাজশাহীর সময় / এম আর