২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:২৯:১৫ অপরাহ্ন


ভার্চুয়াল মিটিংয়েই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উপায় খুঁজছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউ ইয়র্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৩-২০২২
ভার্চুয়াল মিটিংয়েই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উপায় খুঁজছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভার্চুয়াল মিটিংয়েই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উপায় খুঁজছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী


র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উপায় খুঁজে বের করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সরকারের ইচ্ছার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ ব্যাপারে মার্কিন কংগ্রেসের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের অফিসিয়াল মিটিংয়ে যোগ দিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি নিউ ইয়র্কে যান ড. মোমেন। 

এই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এবং ১ মার্চ টমাস ল্যান্টোস মানবাধিকার কমিশনের সহসভাপতি কংগ্রেসম্যান জেমস পি ম্যাকগভার্নের সঙ্গে বৈঠক করেন। কোভিড-সম্পর্কিত প্রোটোকলের কারণে উভয় মিটিং ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যাব এবং এর সাত বর্তমান ও সাবেক জৈষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর সাম্প্রতিক মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. মোমেন জানান, র‌্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত আছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, র‌্যাব বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে সবচেয়ে দক্ষ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হয়ে উঠেছে। এটি সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা, মাদক ও মানব পাচার এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

ড. মোমেন রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় এবং কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী মানবিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করেন।

এছাড়াও তিনি রাখাইন রাজ্যে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি এবং বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে অবস্থানরত সব রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নিতে সম্ভাব্য সব উপায়ে মিয়ানমারকে রাজি করাতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনুরোধ জানান।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন। তারা এ বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আশ্বাস দেন।

ড. মোমেন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত করার এবং আগামী দিনে চমৎকার অংশীদারিত্ব আরো গভীর করার ওপর জোর দেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলসহ উভয় আইন প্রণেতাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে এসে উর্ধতন মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে এখনও তিনি সরাসরি কণ বৈঠক করতে না পারলেও বেসরকারি কর্মকান্ড নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি প্রায় প্রতিদিনেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ২/৩টি করে অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। 

রাজশাহীর সময় /এএইচ