২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:১৫:২৬ অপরাহ্ন


চরম দুশ্চিন্তায় সিরাজগঞ্জের গো-খামারিরা
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৮-২০২৩
চরম দুশ্চিন্তায় সিরাজগঞ্জের গো-খামারিরা চরম দুশ্চিন্তায় সিরাজগঞ্জের গো-খামারিরা


দেশের অন্যতম দুগ্ধ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রেশমবাড়ি। এখানেই রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ গোচারণ ভূমি। এখানকার গবাদি পশুগুলোকে সধারণত কাঁচা ঘাষসমৃদ্ধ গোচারণ ভূমিতে রেখে লালন-পালন করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় খামারিদের।

বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায় গোচারণ ভূমি। ফলে গবাদি পশুগুলোকে শুকনো খাবার খাওয়াতে হয় খামারিদের। সেই সাথে এ সময় দেখা দেয় নানান রোগবালাই। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের।

১৯৭৩ সালে সমবায় ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারাখানা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। এখানেই রয়েছে দেশের সবৃবৃহৎ গোচারণ ভূমি। প্রতি বছর বর্ষা এলেই দুশ্চিন্তায় পড়েন এখানকার খামারিরা।

বর্ষা মৌসুমে সবুজ চারণভূমি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশু বাড়িতে রেখে শুকনো খাবার খাওয়াতে হচ্ছে খামারিদের। তিন থেকে চার মাস পানি থাকায় শুকনো খড় আর দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের। আর শুকনো খাবার খাওয়ানোয় কমে যায় দুধের উৎপাদন।

রেশন বাড়ির খামারি আশরাফ আলী জানান, ‘প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম আসলেই গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। এ সময় কাঁচা ঘাস তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুগুলোকে শুকনো খাবার খাওয়াতে হয়। বর্তমানে দানাদার গো খাদ্যের দাম দফায় দফায় বাড়ায় গরু পালনে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’

 নজরুল ইসলাম নামে আরেক গো-খামারি বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমের তিন মাস আমরা গরুকে কাঁচা ঘাস খাওয়াতে পারি না। এ সময় সব গরুকেই শুকনো খাবার দিতে হয়। এতে দুধের উৎপাদন অনেকটাই কমে যায়। সেই সাথে এ সময় দেখা দেয় বিভিন্ন রোগবালাই।’

তবে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, বর্ষার এ সময়টায় গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধ করার পাশপাশি দুধের উৎপাদন বাড়ানোসহ খামারিদের সহায়তায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।