২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৩:৩৩:০১ অপরাহ্ন


সুস্বাদু মুখরোচক মোমো” র উৎপত্তি ও ইতিহাস
ফারহানা জরিন এলমা:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২২
সুস্বাদু মুখরোচক মোমো” র উৎপত্তি ও ইতিহাস সুস্বাদু মুখরোচক মোমো” র উৎপত্তি ও ইতিহাস


সুস্বাদু মুখরোচক একটি খাবার।’মোমো’ শব্দটির অর্থ হল ‘মাংসে ভরা ভাপা ময়দার পুডিং বিশেষ’। মোমো’র উৎপত্তি তিব্বতে। প্রথাগতভাবে এই খাদ্য তৈরির সময় চমরী গাই-এর মাংসকে পুর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। নেওয়ার ব্যবসায়ীরা তিব্বত থেকে নেপালে প্রথম মোমো ক্রয় করে আনে। পরবর্তীকালে তারা নিজেরাই রন্ধন প্রক্রিয়াটি একটু পরিবর্তন করে নেয়।

যেহেতু নেপালে মহিষ সহজলভ্য, তাই তারা মোমোর পুর হিসাবে মহিষ মাংসের কিমাই সবসময় ব্যবহার করত। এখন সবজি ও মুরগীর মাংসের পুর দিয়েও তৈরি করা হয় সুস্বাদু মোমো। ৯০ দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত নেওয়ার সম্প্রদায়ের কাছে এটি অন্যতম জনপ্রিয় প্রধান খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীকালে কাঠমান্ডু থেকে ব্যাপক দেশান্তর (Migration) এবং মুক্ত অর্থনীতির কল্যাণে ২০০০ সালের মাঝামাঝি ভারতের সমস্ত মেগাসিটিতে এই খাবারটি ছড়িয়ে পড়ে।

আবার তিব্বতিও শরণার্থীদের মাধ্যমেও এই খাবারটি ভারতে আসে বলে মনে করা হয়। হিমালয়ের কাছাকাছি যেমন লাদাখ, সিকিম, পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, মেঘালয়, অরুণাচল, আসাম ইত্যাদি অঞ্চলে খাবারটি খুব জনপ্রিয়। সমগ্র ভারতে এই সুস্বাদু খাবারটির বিন্যাস ঘটাতে উত্তরপূর্ব ভারতের মানুষদের অবদান অনস্বীকার্য।

কোলকাতা, দিল্লি, বাঙ্গালরে তারাই স্টল শুরু করেন। এখন দেশটির প্রতিটি মোড়ে মোড়ে মোমো বিক্রি হয়। ২০১৮ তে মোমো আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ আমাদের দেশের আনাচে কানাচেও প্রবেশ করে গেছে মোমোর জনপ্রিয়তা। একটি দেশের কোনো লোকাল খাবার সাধারণত এতটা জনপ্রিয়তা পায়না, যতটা এই মোমো পেয়েছে। বলতে গেলে এটি এখন বিশ্বের প্রায় ৬০% দেশেই পাওয়া যায়।

মোমো যেভাবে তৈরি করা হয়:

মোমো বানানোর জন্য মাকটু নামক একটা বাসন ব্যবহার করা হয়। মোমোর আস্তরণ হিসাবে ময়দার তাল বা লেইকে বেলনা দিয়ে ছোট ছোট গোলকরে লুচির মত বা অর্ধচন্দ্রাকৃতি আকারে বেলে নিতে হয়। কড়াইতে অল্প তেল দিয়ে সবজি লঙ্কা কুচোনো, আদা কুচোনো, নুন, গোলমরিচ, ধনেপাতা দিয়ে মোমোর পুর তৈরি করে নিতে হয়। লুচির মতো ছোট ছোট লেচি কেটে গোল করে বেলে পুর ভরে ফেলুন। এরপর নিজের মন মতো আকার দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে মোমো। বিভিন্ন আকারের হয় মোমো, আমাদের পুলি পিঠের মতো বা গোলাকার খানিকটা জামরুলের মতো, আরো অনেক রকম। মোমোর পাত্রে আগে থেকে জল গরম করতে দিতে হবে। উপরের পাত্রে অল্প তেল মাখিয়ে মোমো সাজিয়ে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে।২৫-৩০ মিনিট ভাপে রেখে তৈরি করা হয় মোমো।

রাজশাহীর সময় / এম আর