সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত আমল ও ইবাদত। সুন্নাত এ আমলটি করতে গিয়ে কেউ কাউকে সালাম দিলে এর জবাব দেওয়া ওয়াজিব বা আবশ্যক হয়ে যায়। সালামের অনেক উপকারিতা ও ফজিলত রয়েছে। একটি চমৎকার একটি ফজিলত হলো- নিজ ঘরে সালাম দিয়ে প্রবেশ করা। ঘরে প্রবেশ করতে সালাম দিলে কী হয়?
সালাম শান্তিপূর্ণ অভিবাদন। আল্লাহ তাআলা পরস্পরকে সালাম দিতে বলেছেন। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সালাম দেয়ার কথা বলেছেন। কারো সঙ্গে শুধু দেখা-সাক্ষাতেই সালাম দিতে হবে এমনটি নয় বরং সালাম দেওয়া প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন-
فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُون
‘এরপর যখন তোমরা ঘরে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দোয়া। এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্যে আয়াতসমূহ বিশদভাবে বর্ননা করেন, যাতে তোমরা বুঝে নাও ‘ (সুরা নুর : ৬১)
কোরআনের এ নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখেই চমৎকার একটি ফজিলত বর্ণনা করেছেন বিশ্বনবি। কেউ সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেই আল্লাহর জিম্মাদারিতে থাকার সৌভাগ্য অর্জন করবেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর জিম্মাদারি তিন ব্যক্তির জন্য। তারা হলেন-
১. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে যুদ্ধে বের হয়েছে; সে আল্লাহর জিম্মাদারীতে রয়েছে, যে পর্যন্ত আল্লাহ তাকে উঠিয়ে না নেন এবং জান্নাতে প্রবেশ না করান। অথবা তাকে ফিরিয়ে আনেন, যে সাওয়াব বা যে গনীমাতের মাল সে যুদ্ধে লাভ করেছে তার সাথে।
২. যে ব্যক্তি মসজিদে গমন করেছে সে আল্লাহর দায়িত্বে রয়েছে। এবং
৩. যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে নিজের ঘরে প্রবেশ করেছে, সে আল্লাহর জিম্মাদারিতে রয়েছে।’ (আবু দাউদ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঘরে প্রবেশের আগে সালাম দেওয়া। সালাম দিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে যতক্ষণ ঘরে অবস্থান করবে, ততক্ষণ সে আল্লাহর জিম্মাদারিতে থাকবে। যে আল্লাহর জিম্মাদারিতে থাকবে, তার কোনো চিন্তা নেই। নেই কোনো বিপদের আশঙ্কা। আর কোনো ব্যক্তির জন্য এর চেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় আর কী হতে পারে!
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে ঘরে প্রবেশ করার সময় সালাম দেওয়ার মাধ্যমে মর্যাদা ও সম্মানের এ ফজিলত অর্জন করার তাওফিক দান করুন। ঘরে অবস্থানকালীন সময়ে আল্লাহর জিম্মাদারিতে থেকে সব বিপদ-আপদ থেকে হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
রাজশাহীর সময় / এম আর