২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০১:৫৪:৪৯ পূর্বাহ্ন


কিয়েভ রক্ষায় রাজপথে অবস্থান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০২-২০২২
কিয়েভ রক্ষায় রাজপথে অবস্থান ফাইল ফটো


ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের জন্য দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়ান সেনারা।

স্বররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ভাদিম ডেনিসেনকো কিয়েভের বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছেন, যেন তারা শহরকে রক্ষা করেন। ১৮ হাজার মেশিনগান জনগণকে সরবারহ করা হয়েছে। গতিবিধি যেন প্রকাশ না হয় এজন্য তিনি ইউক্রেনীয় সেনাদের ভিডিও করতে নিষেধ করেন।

ইউক্রেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো পোরেশেনকোকেও কিয়েভের বাসিন্দাদের সঙ্গে অস্ত্র হাতে দেখা গেছে। তিনি দৃপ্তকণ্ঠে বলেছেন, যত তারা (রাশিয়া) শক্তিশালীই হোক না কেন ইউক্রেন দখল করতে পারবে না।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়ার সৈন্যদের সঙ্গে লড়তে কিয়েভে প্রবেশ করছে ইউক্রেন সেনাবাহিনীর গাড়ি। মলোটভ ককটেল বানানোর পরামর্শ দিয়ে লিফলেট বিলি করা হচ্ছে শহরের রাস্তায় রাস্তায়।

ট্যাংক নিয়ে আসা রাশিয়ানদের রুখতে নাগরিকদের হাতেই অস্ত্র দিয়েছে সরকার। পুরুষদের পালিয়ে না গিয়ে যুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় কিয়েভের রাস্তায় অস্ত্র হাতে সাধারণ নাগরিকরা ঘোরাফেরা করছেন এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে এক যুদ্ধের যা তাদের এবং জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করবে। 

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো জানিয়েছেন, কিয়েভে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। শহরের উত্তরে বিদ্যুৎ স্টেশনেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

খারকিভের কাছে ইউক্রেইনের বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে বিধ্বস্ত একটি ট্যাংকের পাশে বরফের উপর পড়ে আছে এক রুশ সেনার লাশ। 

মেয়র ক্লিটসকো জানিয়েছেন, জরুরি সেবাদানকারী সংস্থার লোকেরা ঘটনাস্থলে গেছেন। আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে কিয়েভের জন্য হুমকি। রাতটা আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি রাজধানী কিয়েভের রাস্তা থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। রুশ গণমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর তার ওই ভিডিওটি প্রকাশিত হয়।

ভিডিওতে তার পাশে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা এবং তার প্রধানমন্ত্রী। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ভিডিওতে তিনি বলেছেন, আমরা সবাই এখানে আছি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রকে রক্ষা করছি। আমরা তা অব্যাহত রাখব।

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। চারদিক থেকে ইউক্রেনকে ঘিরে হামলা চালায় রুশ সেনারা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বার বারই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ইউক্রেন সেনা অস্ত্র সংবরণ না করলে সামরিক অভিযান জারি থাকবে।

অন্যদিকে ইউক্রেন বলছে তারা আলোচনার প্রস্তুত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র বলছে রাশিয়া যুদ্ধবিরতির আহ্বান কূটনীতি নয়। হামলা চালিয়ে কূটনীতি চলতে পারে না। আগে হামলা বন্ধ করতে হবে।

রাজশাহীর সময় /এএইচ